ভূমি বিষয়ক কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব অথবা সমস্যার সমাধান
ভূমি বিষয়ক কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব অথবা সমস্যার সমাধানঃ
১) সমস্যাঃ দাতা ২ বার জমি বিক্রি করেছে!!! প্রথমবার ২০১৬ সালে যিনি কিনেছেন তিনি নামজারি করেননি। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে যিনি কিনেছেন তিনি নামজারি করে ডিসিআর খুলে খাজনা ও দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হল প্রথমজন যদি নামজারি করে তবে কি দ্বিতীয় জনের নামজারি বাতিল হয়ে যাবে???
সমাধানঃ কিছু কথা বলা জরুরি যা না বললেই নয়।
প্রথম ব্যক্তি যে ভুল করেছে সে ভুলের শাস্তি স্বরূপ এই কাজটি ঘটেছে। তার উচিত ছিল জমি ক্রয় করার পরপরই জাবেদা কপি সংগ্রহ করে নিজ নামে নামজারি করেনেওয়া যেহেতু তিনি নামজরি করতে লেন্দি করেছেন তার জন্য এটা হওয়া উচিত ছিল।
দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ এই ব্যক্তি তো প্রতারণার শিকার!!! সে কি জানতো দাতা ইতিপূর্বেও কারো কাছে জমি বিক্রয় করেছে সে আবার নামজারি করেনি। যদি সে জানার পরও নিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেও দোষী তারও শাস্তি হওয়া দরকার।
আর এখানে তো দাতার কথা বলার অপেক্ষায় রাখেনা সে হলো মূল আসামি তার ওপর চূড়ান্ত শাস্তি হওয়া দরকার।
এখন আসাযাক মূল সমাধানে, এই সমস্যা বা জটিলতা কিভাবে দূরীকরণ করা যায় মূল কথাই সমাধান করা যায়ঃ ক) প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তির নামজারীর উপরে একটি মিসকেশের আবেদন করবে। (এখন যদি মিসকেস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আরেকটি পোস্ট আপনাকে জানতে হবে যা আমাদের এই গ্রুপেই/পেজে/ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন)।
খ) প্রথম ব্যক্তি এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি দুইজনে পরস্পর ঝামেলা না করে, উভয়ের উচিত হবে একত্রে দাতার নামে একটি জালিয়াতি মামলা করা। ধন্যবাদ
২) সমস্যাঃ চাচাতো বোন তার চাচাতো ভাইকে সম্পত্তি দিতে চাইতেছে ,কোন বিনিময় ছাড়া। প্রশ্ন হল কি দলিল করলে ভালো হয়???
সমাধানঃ দানপত্র দলিল করতে পারে। সাব-কবলা দলিল করা বেশি ভালো হয়, তবে যেহেতু চাচাতো বোন চাচাতো ভাইকে নিঃশর্তে কোন আর্থিক বিনিময় ছাড়াই জমি দিতে চাচ্ছে সে ক্ষেত্রে এককালীন দান দলিল করায় উচিত।
৩) সমস্যাঃ ২০০৯ সালে বি.ডি.এস জরিপ এর কার্য পরিচালনা হয়, ফাইনাল কোন খতিয়ান না পাওয়ায় ২০১৭ সালে আর এস রেকর্ড অনুসারে বিক্রয় কবলা দলের মাধ্যমে ১১ শতক জমি ক্রয় করি। এখন ২০২৩ সালে এসে উক্ত জমির বিডিএস খাজনা চালু হওয়ার পরে জানতে পারি ২০০৯ সালের রেকর্ড হওয়া মালিকের জমি পরিমাণ কমে দিয়েছে ৫ শতক এখন আমার করনীয় কি??? আমি তো আমার নামে ১১ শতক জমি নামজারি করতে পারছি না।
সমাধানঃ প্রথমত আপনাকে আশেপাশের দাগের জমির পরিমাণ বের করতে হবে,। দ্বিতীয়ত বাকি পাঁচ শতক জমি কার নামে রেকর্ড হয়েছে সেটা বের করতে হবে। আপনি নিশ্চিত হওয়ার পর যাদের নামে জমিটি রেকর্ড হয়েছে তাদের নামে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে হবে। এখন আপনি সকল তথ্য কোথায় পাবেন!!! আপনার নিকটস্থ তহশিল অফিস থেকে আপনি আপনার জমির সকল তথ্য পেয়ে যাবেন, প্রয়োজনে জেলার কোড রুম হতে আপনার জমির তথ্য পেতে পারেন।
৪) সমস্যাঃ বন্টন নামা দিয়ে কি আমি আমার অংশ বিক্রি করতে পারবো??? বন্টন নামা দলিল কিভাবে করতে হয় আর কোথায় করতে হয়???
সমাধানঃ ক) অবশ্যই আপনি বন্টন মামা বাটোয়ারা দলিল হতে আপনি আপনার অংশ নামজারি করার মাধ্যমে সেই জমি হস্তান্তর বা বিক্রয় করতে পারবেন।
খ) কোথায় করতে হয় এবং কিভাবে করতে হয়!!! এটি এমন একটি দলিল যাহা আপনার সকল ওয়ারিসগণের নামে একটি দলিল হয়ে থাকে। একই মজা হতে পারে অথবা কয়েকটি মজার সম্পত্তি একত্রিত হয়ে এই কাজটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর বন্টন নামা দলিলটি অবশ্যই রেজিস্ট্রি দলিল হতে হবে, রেজিস্ট্রি করতে হয় রেজিস্ট্রি অফিসে, রেজিস্ট্রি অফিসটি প্রতিটি উপজেলায় থেকে থাকে, একজন সাব রেজিস্টার এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
৫) সমস্যাঃ সাম্প্রতি বি ডি এস রেকর্ডে ওয়ারিসদের মধ্যে একজন ওয়ারিস এর নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে,তাও আবার তার অংশের বেশি বাকি ওয়ানিমদের নাম রেকর্ড ভক্ত হয়নি, এখন বাকি অরিসদের নাম এবং পরিমাণ সঠিকভাবে সংশোধন করতে চাইলে করণীয় কি?
সমাধানঃ মূলত এই কাজটি বর্তমানে এসি ল্যান্ড অফিসের এসিলেন্ট এর উপরে বর্তায়, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এসিল্যান্ড সাহেব এর দায়িত্ব তিনি পালন করেন না, সচারাচার এর জন্য প্রত্যেক ভুক্তভোগীকেই একটি মামলা করতে হয় কোর্টে, কোর্টে মামলা করার মাধ্যমে কোটের রায় এর ভিত্তিতে ছুটে যাওয়া ওয়ানিসদের অংশ বরাবর তাদের রেকর্ডটি সংশোধন করা হয়, তাছাড়া রেকর্ড চলাকালীন সময়ের পরেও লম্বা একটি সময় পাওয়া যায় রেকর্ড কারেকশন করার জন্য পার্টির ব্যর্থতার কারণে সেটি না হয়ে থাকলে একটি মামলার মাধ্যমে এটি সম্পূর্ণ করতে হয়।
যে কোন প্রয়োযনে যোগাযোগ করুনঃ
০১৭৪৪৭২৬৫৩১
Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url