OrdinaryITPostAd

ভূমি সংক্রান্ত কিছু প্রাথমিক ধারণা যা জেনে রাখা অতিব গুরুত্বপূর্ণ

ভূমি সংক্রান্ত কিছু প্রাথমিক ধারণা যা জেনে রাখা অতিব গুরুত্বপূর্ণ
ভূমি জরিপঃ ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জরিপ বিভাগের একটি কার্যক্রম, যা সরকারি নির্দেশে প্রয়োজন অনুসারে ভূমি মালিক চিহ্নিতকরণ করার জন্য মৌজাভিত্তিক এ কাজ পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে তৈরি হয় ওয়ার্কিং পর্চা, রেকর্ডিও খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ বা নক্সা। ওয়ার্কিং পর্চাঃ ভূমি জরিপ কালিন সময়ে ভূমি মালিকদের তাৎখনিক জরিপের যে কাগজ সরবরাহ করা হয় তাই ওয়ার্কিং পর্চা। চূড়ান্ত খতিয়ানে যে সকল তথ্য থাকবে ওয়ার্কিং পর্চাতে হুবহু সে সকল তথ্য থাকে এবং এক্সট্রা কিছু তথ্য থাকে যা আমরা সূত্র বা আগত সূত্র নামে জেনে থাকি এবং ওয়ার্কিং পর্চা অবশ্যই জরিপ কর্মকর্তা এর দস্তখত সহ শীল থাকা আবশ্যক। রেকর্ডিও খতিয়ানঃ রেকর্ড কাজ পরিচালনা করে ভূমি মালিকদের যে চুড়ান্ত ভূমি জরিপ রিপোটের কাগজ সরবরাহ করা হয় তাই রেকর্ডিও খতিয়ান। মৌজা ম্যাপ বা নক্সাঃ জরিপ বিভাগের অধীনে মৌজা ভিত্তিক যে এরিয়া নির্ধারণ করা হয় এবং বিভিন্ন ছোট ছোট দাগে ভূমি মালিকদের পৃথকীকরণ করা হয় ও ভূমি মালিকদের এরিয়া চিহ্নিতকরণ করা হয় তাই হচ্ছে মৌজা ম্যাপ বা নক্সা। অন্যভাবে বলা যায় মৌজা ম্যাপ হচ্ছে কোন ভূমির বাস্তব চিত্র বা ভূচিত্রের বাস্তব ফলাফল। মৌজাঃ মৌজা হচ্ছে ভূমি জরিপের মৌলিক ইউনিট যাহার মাধ্যমে একটি এরিয়াকে সহজে পৃথক করা যায়। অনেকগুলো ভূমি মালিকের এরিয়ার ভিত্তিতে ছোট দাগের সৃষ্টি হয়, কয়েকটি দাগের সমন্বয়ে একটি মৌজার সৃষ্টি হয়। জে এল নম্বরঃ মৌজার পরিচিতি নম্বর কে জে এল নম্বর বলা হয়। জে এল নম্বর গুলো উপজেলা ভিত্তিক হয়ে থাকে। জে এল নম্বর এর পূর্ণরূপ (জুরিসিডিকশন লিস্ট নম্বর) উপজেলার উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে শুরু করে পূর্ব দক্ষিণ কোণে গিয়েএর নম্বর দেওয়া শেষ করা হয়। দাগ নম্বরঃ একটি মৌজার অন্তর্গত ভূমি মালিকের এরিয়া আলাদা করতে যে খন্ড খন্ড করা হয় এবং ভূমির প্রকৃতি নির্ণয় যে একক নাম্বার ব্যবহার করা হয় তাহাই হচ্ছে দাগ নম্বর । বাটা দাগঃ নকশয় ভুলবশত কোন প্লট নাম্বার বাদ পড়লে মৌজার শেষ প্লট নম্বরটির পরের নম্বর নিচে লিখে এবং বাদ পড়া প্লটের ঠিক উপরের প্লটের নাম্বারটি উপরে লেখে (ভগ্নাংশের ন্যায়) দেখতে প্রাপ্ত যে নম্বর দেওয়া হয় প্লট্টি চিহ্নিত করার জন্য তাহাই হচ্ছে বাটা দাগ। ছুট দাগঃ নকশায় নাম্বার বসানোর সময় ভুলক্রমে যদি কোন সিরিয়াল নম্বর মিসটেক হয় যে নাম্বারটি মিসটেক হয় সেটাই হচ্ছে ছুট দাগ। মূলত ছুট দাগ কোন দাগ নম্বর নয়, বা এর কোন অস্তিত্ব মৌজা ম্যাপে থাকে না। হোল্ডিংঃ হোল্ডিং হচ্ছে ভূমি মালিকদের ভূমির পরিচিতি নম্বর অর্থাৎ একটি খতিয়ানে একটি দাগ থাকতে পারে আবার একাধিক দাগও থাকতে পারে এরূপ একটি খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ভুমিকে হোল্ডিং নাম্বার দ্বারা আমরা আলাদা করতে পারি বা চিহ্নিত করতে পারি। দাখিলাঃ ভূমি মালিকদের নিকট হতে যে কর আদায় করা হয় অর্থাৎ ভূমি উন্নয়ন কর এর বিপরীতে ভূমি মালিকদের যে প্রাথমিক প্রমাণপত্র সরবরাহ করা হয় তাহাই হচ্ছে দাখিলা। ডি.সি.আরঃ ভূমি মালিকদের রেকর্ড কারেকশন করার জন্য যে চার্জ গ্রহণ করা হয় এই চার্জ গ্রহণের বিপরীতে যে রশিদ প্রদান করা হয় তাহাই মূলত ডি.সি.আর।অন্যভাবে বলা যায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যতীত অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায়ের জন্য যে রশিদ দেওয়া হয় তাকে ডি.সি.আর বলা হয়। কবুলিয়তঃ কবুলিয়ত হচ্ছে এক ধরনের শর্তযুক্ত চুক্তিনামা যা রাইত কর্তিক সরকার বরাবরের দেওয়া হয়। জমির তফসিলঃ তফসিলের আমরা ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য পেয়ে থাকি তফসিলে উল্লেখ থাকে জেলার নাম, উপজেলার নাম, মৌজা নাম,জেএল নম্বর, খতিয়ান নম্বর হাল এবং সাবেক, দাগ নম্বর সাবেক ও হাল, জমির শ্রেণী, জমির পরিমাণ, জমির খাজনার পরিমান, জমির চৌহর্দ্দি। ফিল্ড বুকঃ জরিপের প্রয়োজনে কিসতোআর কালে অফসেট গ্রহণ সহ চলমান যে চেইনের রিডিং লেখার জন্য যে বই ব্যবহার হয় তাকে ফিল্ড বুক বলে। এটি দেখে পরবর্তীতে টেবিলে পি ৭০ সিটে স্ব হস্তে নকশা অংকন করা হয়। (জরিপ চলাকালে আমিনের জন্য এর ব্যবহার নিষিদ্ধ) জরিপকালে ব্যবহারিত কালি বা রং এর বিবরণঃ খানাপুরি স্তরে ব্যবহার করতে হবে কালো কালি। বুঝারত স্তরে ব্যবহার করতে হবে সবুজ কালি। তসদিক স্তরে ব্যবহার করতে হবে লাল কালি। আপত্তি স্তরে ব্যবহার করতে হবে ব্ল-কোবাল্ট কালি। আপিল ইস্তারে ব্যবহার করতে হবে কালো কালি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url