ফারাজ কাকে বলে? ইসলামে ফারায়েজ শিক্ষার গুরুত্ব।
আপনি কি ফারায়েজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ইসলামিক ফারায়েজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিব। আপনাকে ফারাজ সম্পর্কে জানতে হলে উক্ত আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এবং ধৈর্য নিয়ে পড়ে নিতে হবে।
ফরায়েজ বা মুসলিম ফারায়েজ এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেকটি মুসলমানের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি ফারায়েজের জ্ঞান ধারণ করে সে যেন দিন বুঝে নিল। ফারায়েজ এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে প্রতিটি সুখ্য থেকে সুক্ষতর অংশীদারদের নিয়ে আলোচনা হয় অতএবে এর শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেওয়া অতীব জরুরী।
সূচনা
ফারায়েজ হচ্ছে মুসলমানদের একটি ভাগ বন্টন। কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর তার যে ত্যাক্ত অবশিষ্ট সম্পত্তি ফারায়েজ মুসলিম। আমাদের বাংলাদেশে দুই ধরনের ফারায়েজ প্রচলিত আছে একটি হচ্ছে মুসলিম ফরায়েজ আরেকটি হচ্ছে পারিবারিক আইন। আজ শুধু মাত্র আমরা মুসলিম ফারায়েজ নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
আলোচ্য বিষয়
- ফারায়েজ কাকে বলে।
- ফারায়েজ সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা।
- ফারায়েজ সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনা।
- মুসলিম ফারায়েজের উৎস কয়টি ও কি কি।
- ফারায়েজের মূল ভিত্তি বা শর্ত কি কি।
- ফারায়েজ করার পূর্ব শর্ত গুলো কি কি।
- মুসলিম ফারায়েজের প্রকারভেদ।
- জাবিল ফুরুজ কারা।
- আবাসার অন্তরভূক্ত কারা।
- জাবিল আরহাম কারা।
ফারায়েজ কাকে বলে
ফারায়েজ হচ্ছে একটি ইসলামিক আইন বা বিধান এবং এটি হিসাব বিজ্ঞানের একটি নীতিমালাও বটে। মুসলিম ধর্মালম্বীদের মধ্যে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে তার রেখে যাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যে সকল ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বন্টন করা হয় তাহাই হচ্ছে ফারায়েজ বা ইসলামিক ফারায়েজ। ইসলামিক ফারায়েজ মূলত পবিত্র আল-কোরআন,হাদিস,ইজমা ও কিয়াস এর উপর ভিত্তি করে যে বন্টন করা হয়।
ফারায়েজ সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা
পবিত্র আল কোরআনের সূরা আর নিসার ১১ ও ১২ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন- আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তান সন্তদের সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন, পুরুষ দুই নারী অংশের সমান পাবে। তবে সন্তান-সন্তদি যদি শুধু দুই জন নারীর অধিক হয় তাহলে তারা রেখে যাওয়া সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ পাবে এবং তার পিতা-মাতা প্রত্যেকে রেখে যাওয়া সম্পত্তির ৬ ভাগের এক ভাগ পাবে, যদি তার সন্তান থাকে।
আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং তার ওয়ারিশ মাতা-পিতাই হয়, সে অবস্থায় তার মাতা জন্য এক তৃতীয় অংশ, কিন্তু তার ভাই-বোন থাকলে তার মাতা পাবে ৬ ভাগের এক ভাগ। তার ওসিয়তকৃত অথবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমরা জানো না তোমাদের পিতা-মাতা এবং সন্তানদের মধ্যে কে তোমাদের পক্ষে উপকারের দিক দিয়ে অধিক তর নিকটবর্তী নির্ধারিত করা হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী প্রজ্ঞাময়।
তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক তোমাদের জন্য যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি সন্তান থাকে, তবে তোমাদের জন্য তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, যখন তার সন্তান-সন্ততি থাকে, তাদের কৃত ওসিয়ত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। এবং তারা তমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অংশ পাবে ৮ ভাগের ২ ভাগ যাদ কোন সন্তান না থাকে। আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির ৮ ভাগের ১ ভাগ তোমাদের ওসিয়তকৃত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর।
যদি পিতা মাতাহীন ও নিঃসন্তান কোন পুরুষ বা নারীর শুধু বই-পিত্রিয় একটি ভাই বা একটি ভগ্নি থাকে তবে প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ যদি তারা তার চেয়ে অধিক হয় তবে সকলেই তৃতীয় অংশে শরিক হবে কৃত ওসিয়াত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয় এ হলো আল্লাহর বিধান আল্লাহ সর্ব জ্ঞানী সহনশীল।
তোমাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, যখন তোমাদের কারো সামনে মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং সেই ব্যক্তি কিছু সম্পত্তি ছেড়ে যায়, তবে সে ব্যক্তি যেন সঙ্গত ভাবে ওয়াসিয়াত করে যায় পিতা-মাতা ও নিকট সম্পর্কীয়দের জন্য, মুত্তাকিদের জন্য এটা একটা কর্তব্য। অতঃপর যে ব্যক্তি তা শুনে নেওয়ার পর ওসিয়ত এর পরিবর্তন ঘটাবে, তবে তার গুনা সেই লোকদের প্রতি যারা তার পরিবর্তন ঘটায়, নিশ্চয়ই আল্লাহর সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
যে ব্যাক্তি ওসিয়ত কারীর পক্ষ হতে পক্ষপাতীত্বের ভয় করে কিংবা অন্যায়ের আশঙ্কা করে অতঃপর সে যদি তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয় তবে তার কোন গুনাহ নেই নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা-বাকারা আয়াত- ১৮০ থেকে ১৮২)
ফারায়েজ সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনা
- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন যে কোরআন পড়েছে সে যেন ফারায়েজ শিক্ষা গ্রহণ করেছে। ( ফাতহুল বারি)
- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন তোমরা ফারায়েজ শিক্ষা কর এবং মানুষকে শিক্ষা দান করো কেননা আমাকে দুনিয়া থেকে তুলে নেওয়া হবে আর ফারাজ সংক্রান্ত জ্ঞানও তুলে নেওয়া হয় এমনকি দুইজন ব্যক্তি সম্পত্তি বন্টনের ঝগড়া করবে কিন্তু তারা তৃতীয় কাউকে পাবে না যে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে। ( ফাতহুল বারি)
- হযরত ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- তোমরা ফারায়েজ শিক্ষা করো, কেননা এটা দিনের অংশ। (মিশকাত)
- আব্দুল্লাহ ইবনে অমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন জ্ঞান হল তিন প্রকার এছাড়া যা আছে তা অতিরিক্ত।
- সুস্পষ্ট আয়াত তথা পবিত্র আল কুরআন।
- প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ।
- ন্যায় পরায়ন বন্টন তথা ফারায়েজ। (আবু দাউদ)
- হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন তোমরা ফারায়েজ শিক্ষা গ্রহণ করো এবং তা মানুষকে শিক্ষা দাও, কেননা এটা জ্ঞানের অর্ধেক আর এটা ভুলে যাবে এবং এটাই হলো প্রথম বস্তু যা আমার উম্মত থেকে সর্বপ্রথম ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (ইবনে মাজাহ)
মুসলিম ফারায়েজের উৎস কয়টি ও কি কি
মুসলিম ফরওয়েজের মূল উৎস চারটি-
- পবিত্র আল-কোরআন। (যাহা আল্লাহর বাণী)
- পবিত্র হাদীস। ( যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও কাজ)
- ইজমা (যা সাহাবী তাবে তাবিনগণদের মতামত)
- কিয়াস (উপরোক্ত তিন বিষয়ের পরিপেক্ষিতে বর্তমানে আলেমদের ইস্তেহাদ)
এছাড়াও এদেশে মুসলিম আইন বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যমান। যাহা প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। তবে এটা কোরআনের সাংঘর্ষিক।
- ১৯৩৭ সালের শরিয়া আইন।
- ১৯৭৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন।
- ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন।
ফারায়েজের মূল ভিত্তি বা শর্ত কি কি
- মৃত ব্যক্তি
- মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি।
- মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সকল যোগ্যতা সম্পর্ন ওয়ারিশ।
ফারায়েজ করার পূর্ব শর্ত গুলো কি কি
- মৃত ব্যক্তির জন্য দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা।
- তার কোন ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করা।
- তার কোন ওসিয়ত থাকলে তা পূরণ করা।
- মৃত ব্যক্তির নামে ওয়ারিশান সনদ বা উত্তরাধিকারী সনদ সংগ্রহ করা।
- ওয়ারিশদের মাঝে তার ত্যক্ত সম্পত্তি বন্টন করা।
মুসলিম ফারায়েজের প্রকারভেদ
মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদের কে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়-
- জাবিল ফুরুজ বা প্রথম শ্রেণীর ভাগীদার।
- আবাসা বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাগীদার/ অবশিষ্ট ভগী/ নিকটবর্তী আত্মীয় ।
- জাবিল আরহাম বা তৃতীয় শ্রেণীর ভাগীদার/ দূরবর্তী আত্মীয়।
জাবিল ফুরুজ কারা
সরাসরি কোরআনে যে সকল ব্যক্তির কথা উল্লেখ আছে এবং মুসলিম ফারায়েজ আইনে যে সকল ব্যক্তির অংশটুকু কোন অবস্থাতেই বাদ দেওয়ার অবকাশ নেই অর্থাৎ নির্দিষ্ট ভোগী সে সকল ব্যক্তিবর্গকে জাবিল ফুরুজ বা প্রথম শ্রেণীর ভাগীদার বলে। জাবিল ফুরুজ এর অন্তর্ভুক্ত ১২ জন ব্যক্তি তার মধ্যে চারজন পুরুষ আট জন মহিলা।ব্যক্তিগুলো নিম্নরূপ-
- ৮ জন মহিলার মধ্যে:- ১)মাতা,২)দাদি,৩) স্ত্রী,৪)কন্যা,৫)পুত্রের কন্য,৬)সহোদর বোন,৭)বৈপিত্রিয় বোন, ৮)বৈমাত্রিয় বোন।
- চারজন পুরুষের মধ্যে:- ১)বাবা,২)দাদা,৩) স্বামী,৪)বৈপিত্রিয় ভাই।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- বৈমাত্রিয় বলতে বোঝানো হয়েছে একই বাবার ভিন্ন ভিন্ন স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান।
- বৈপিত্র্রিয় বলতে বোঝানো হয়েছে একই মায়ের গর্ভে ভিন্ন ভিন্ন বাবার সন্তান।
আবাসার অন্তরভূক্ত কারা
আবাসা হচ্ছে সে সকল ব্যক্তিবর্গ যারা হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাগীদার অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীর ভাগীদারদের অংশ বুঝিয়ে দেবার পর যা থাকে তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে আবাসা অর্থাৎ এরা হচ্ছে অবশিষ্টভোগী। অবশিষ্ট ভোগীদের সংখ্যা ১৮ জন এর মধ্যে যারা রয়েছে তারা হচ্ছে-
১)পুত্র,২)পুত্রের পুত্র,৩)পিতা,৪)পিতার পিতা,৫)সহোদর ভাই,৬)সহোদর বেন,৭)বৈপিত্রিয় ভাই, ৮) বৈমাত্রেয় বোন,৯)সহোদর ভাইয়ের পুত্র,১০)বৈমাত্রেয় ভাইয়ের পুত্র,১১)সহোদর ভাইয়ের পুত্রের পুত্র, ১২)বৈমাত্রেয় ভাইয়ের পুত্রের পুত্র,১৩)সহদার চাচা,১৪)বৈমাত্রেয় চাচা,১৫)সহোদর চাচার পুত্র,১৬)বৈমাত্রেয় চাচার পুত্র,১৭) সহদার চাচার পুত্রের পুত্র,১৮)বৈমাত্রিয় চাচার পুত্রের পুত্র।
জাবিল আরহাম কারা
জাবিল আরহাম এরা হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণীর অবশিষ্টভোগী অর্থাৎ দূরবর্তী আত্মীয়। যদি জাবিল ফুরুজ এবং আবাসা হতে একজন ব্যক্তিও পাওয়া যায় তাহলে জাবিল আরহাম এর কোন সদস্যই উক্ত ফারায়েজ এর অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে জাবিল ফুরুজ এবং আবাসা হতে একজন ব্যক্তিও যদি অবশিষ্ট না থাকে তবে জাবিল আরহাম এর ব্যক্তিবর্গ উক্ত ফারায়েজে অন্তর্ভুক্ত হবে। জাবিল আর হাম এর ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে-
- কন্যের সন্তান ও তাদের বংশধর।
- পুত্রের কন্যের সন্তান ও তাদের বংশধর।
- মায়ের মা বা নানী।
- মায়ের পিতা বা নানা।
- আপন ভাইয়ের কন্যা।
- বৈমাত্রিয় ভাইয়ের কন্যা।
- আপন বোনের কন্যা।
- বৈমাত্রিয় ভাইয়ের পুত্র বা কন্যা।
- বৈমাত্রীয় বনের পুত্র বা কন্যা।
- বৈপিত্রীয় বনের পুত্র বা কন্যা।
- সহোদর ফুপু।
- বৈমাত্রেয় ফুপু।
- বৈপিত্রীয় ফুপু।
- বৈপিত্রিয় চাচা।
- সহোদর মামা।
- সহোদর খালা।
- বৈপিত্রিয় মামা।
- বৈমাত্রীয় মামা।
- বৈপিত্রীয় খালা।
উপরোক্ত তিন শ্রেণীর কোন অংশীদার বা অলি না পাওয়া গেলে আরো ৪ শ্রেণী আছে যারা মৃত ব্যক্তির অংশীদার হিসাবে দাবি করতে পারে।
- চুক্তি মূলে উত্তরাধিকার।
- স্বীকৃত আত্মীয়।
- সর্বজনীন উইল গ্রহীতা।
- রাষ্ট্র।
উপসংহার
ফারায়েজ এমন একটি বিষয় যা বুঝতে পারলে অত্যন্ত সহজ আর বুঝতে না পারলে এটি অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। তবে আমার মনে হয় এটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে যদি কেউ রপ্ত করে তার জন্য শিক্ষা বা ফারায়েজের বন্টন একেবারে সহজ।
লেখক এর কথা
প্রতিটি মানুষের জন্য ফারায়েজ বা মুসলিম ফারায়েজ শিক্ষা করা অতীব প্রয়োজন। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার যদি সামান্য তর উপকারে এসে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার পরিচিত জনদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারাও ফারায়েজ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে।
আর্টিকেলটি পড়ে সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে জানাই আমাদের পক্ষ হতে আন্তরিক
Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url