মিস কেস/ বিবিধ কেস কি? মিস কিস কোথায় এবং কিভাবে করতে হয়।
মিস কেস/ বিবিধ কেস কি? মিস কিস কোথায় এবং কিভাবে করতে হয়
পোষ্ট সুুচিপত্র
মিস কেস/ বিবিধ কেস
মিস কেশ হচ্ছে ছুটে যাওয়া কেস। অর্থাৎ কোন ভূমি মালিক এর জমি অন্য কেউ
ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশত নামজারি করে ফেলাছে তাকে পুনরায় সংশোধন করার জন্য অথবা
খতিয়ানের মধ্যে কোন করণিক ভুল লক্ষ্য করলে তা সংশোধনের যে আবেদন করা হয় তাই
মিস কিস। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাসত্ব আইনে, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার ক্ষমতা
বলে উপজেলা সহকারি কমিশনার অথাৎ উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধারা ১৪৩, ১১৬ এবং
১১৭ এর ক্ষমতা বলে নামজারি/ মিউটেশন/ খারিজ/ জমা ভাগ/ জমা একত্রীকরণ/ উপর
পুনরায় তদন্তের অধিকার রাখে। উপযুক্ত প্রমাণাদি সাপেক্ষে রিভিউ ও
পূর্ন-বিবেচনার অধিকার সংরক্ষণ করে।
মিস কিস/ বিবিধ কেস কোথায় এবং কিভাবে করতে হয়
মিস কিস এর আবেদন উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর করতে হয়।
মিস কেস/ বিবিধকেস করার প্রক্রিয়া সমূহ নিচে পয়েন্ট আকারে বর্ণনা করা হলো
১) প্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে যে ভূমিটি নিয়ে বিরোধ বা
সমস্যা সেই ভূমির সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যেমুন- দলিল, খতিয়ান, দাগ
নম্বর, জমির পরিমাণ, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর, হোল্ডিং নম্বর ইত্যাদি উক্ত
ভূমি সংক্রান্ত যে সকল কাগজ প্রয়োজন আপনার এবং যার নামের নামজারিটি বাতিল
করতে চাচ্ছেন প্রয়োজনে তার কিছু কাগজপত্র আপনার সংগ্রহে রাখতে হবে।
২) যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে উক্ত ভূমি সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য দিয়ে উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি অনলাইন আবেদন করতে হবে।
৩) উক্ত আবেদনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তা প্রিন্ট করে বের করে আবেদনের মধ্যে ২০ টাকার কোট ফি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে এর হার্ড কপি জমা প্রদান করতে হবে।
৪) উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নোটিশ এর মাধ্যমে পক্ষগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
৫) নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণকে উপস্থিত হয়ে নিজ সত্ব উপস্থাপন করতে হয়। যাহাকে আমরা শুনানি হিসেবে জেনে থাকি।
৬) উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয় পক্ষের প্রমাণাদি বিচার-বিশ্লেষণ করে যার পক্ষে রায় ঘোষণা করেন উক্ত জমির মালিক তিনাকে বিবেচনা করা হয়। এবং তার পক্ষে খাজনা খারিজ ইস্যু করা হয়।
২) যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে উক্ত ভূমি সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য দিয়ে উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি অনলাইন আবেদন করতে হবে।
৩) উক্ত আবেদনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তা প্রিন্ট করে বের করে আবেদনের মধ্যে ২০ টাকার কোট ফি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে এর হার্ড কপি জমা প্রদান করতে হবে।
৪) উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নোটিশ এর মাধ্যমে পক্ষগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
৫) নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণকে উপস্থিত হয়ে নিজ সত্ব উপস্থাপন করতে হয়। যাহাকে আমরা শুনানি হিসেবে জেনে থাকি।
৬) উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয় পক্ষের প্রমাণাদি বিচার-বিশ্লেষণ করে যার পক্ষে রায় ঘোষণা করেন উক্ত জমির মালিক তিনাকে বিবেচনা করা হয়। এবং তার পক্ষে খাজনা খারিজ ইস্যু করা হয়।
মিস কেসে/ বিবিধ কেসের আবেদন কেন করা হয়
১) ভূমি মালিকদের জমির পরিমাণ যদি কম বেশি হয় তাহলে এই কেস হয়ে থাকে।
২) বি.এস রেকর্ডে কোন করনিক ভূল থাকলে।
৩) জমির শ্রেণীর পরির্বতন করতে।
২) বি.এস রেকর্ডে কোন করনিক ভূল থাকলে।
৩) জমির শ্রেণীর পরির্বতন করতে।
উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টাকরা হচ্ছে। নিম্নে তা দেওয়া হলো-
১) হাজী মোহাম্মদ কেফাতুল্লাহ আর এস রেকর্ডিও প্রজা তিনি ১৬৫ শতক জমি
রেখে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু কালে একজন স্ত্রী দুইজন ছেলে এবং তিনজন মেয়ে
রেখে মৃত্যুবরণ করেন। এমত অবস্থায় হাজী মোহাম্মদ কেফাতুল্লাহ এক ছেলে ৬০ শতক
জমি বাইরের এক মানুষের কাছে বিক্রয় করে। যিনি জমিটি ক্রয় করেছেন তিনি তার
নিজ নামে নামজারি করে নেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেফাতুল্লাহর যে ছেলে জমি
বিক্রয় করল সে কি ৬০ শতক জমির মালিক? যদি না হয় তাহলে বাকি ওয়ারিসগণ তাদের
সম্পত্তি কিভাবে ফেরত পাবে।
২) Nid card এ ভূমি মালিকের নাম আছে আব্দুল মমিন কিন্তু রেকর্ড খতিয়ানে নাম আসছে আব্দুল সামিন এক্ষেত্রে উক্ত জমি মালিকের করণীয় কি? ৩) আপনার জমিটি নিচু অথবা উঁচু এখন জমিটি ভরাট করবেন অথবা জমেটি কাটবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জমিটির শ্রেণী পরিবর্তন হবে এই শ্রেণী পরিবর্তন হওয়ার জন্য বা শ্রেণী পরিবর্তন করার জন্য আপনার করণীয় কি হবে। আশা করি উপরুক্ত বিষয়গুলো থেকে আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। যদি সামান্য কিছুটা উপকার করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের পেজটিকে লাইক ও ফলো দিয়ে রাখবেন। আর যদি আপনার মনে হয় উপরোক্ত তথ্যগুলোর মধ্যে আরো কিছু সংযুক্ত, পরিবর্তন ,পরিবর্ধন করা যায় সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন ইনশাআল্লাহ আমরা সংশোধন করে নিব।
Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url