আনা গন্ডার হিসাব নিকাশের বেষ্ট সমাধান
সুচিপত্র
· আনা গন্ডা কড়া ক্রান্তি তিল।
· আনা গন্ডা কড়া ক্রান্তি তিল এর চিহ্ন।
· পূর্বের আনা গন্ডা কড়া ক্রান্তি তিল এর সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়
Ø আনা,
গন্ডা,
কড়া,
ক্রান্তি,
তিল।
ü আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি, তিল, এই
সকল
হিসেব
মূলত
আমরা
বিভিন্ন
খতিয়ানের
দেখে
থাকি
যেমন
বাংলাদেশ
সৃষ্টি
হওয়ার
আগে
আমরা
যে
সকল
খতিয়ান
লক্ষ
করি
তার
মধ্যে
সিএস
এবং
এস
এ
খতিয়ানে
এই
হিসাবের
প্রচলন
বেশি
দেখা
যায়।
কোন খতিয়ানে
একাধিক
মালিক
ও
একাধিক
জমির
দাগ
উল্লেখ
থাকলে
আনা, গন্ডা, কড়া, ক্রান্তি, তিল
এই
হিসাবে
হিসাব
করা
হতো
বা হয়।
১
আনা |
২০
গন্ডা |
১
গন্ডা |
৪
কড়া |
১
কড়া |
৩
ক্রান্তি |
১
ক্রান্তি |
২০
তিল |
ü আনা,
পন,
কানি
একই
জিনিস
নিচে
আনা
লেখার
নিয়ম
তুলে
ধরা
হলোঃ
আনা,পন,কানি |
চিহ্ন,আকৃতি, |
১
আনা,পন,কানি |
/ |
২
আনা,পন,কানি |
৵ |
৩ আনা,পন,কানি |
৶ |
৪ আনা,পন,কানি |
৷৹ |
৫ আনা,পন,কানি |
৷/ |
৬ আনা,পন,কানি |
৷৵ |
৭ আনা,পন,কানি |
৷৶ |
৮ আনা,পন,কানি |
৷৷৹ |
৯ আনা,পন,কানি |
৷৷/ |
১০ আনা,পন,কানি |
৷৷৵ |
১১ আনা,পন,কানি |
৷৷৶ |
১২ আনা,পন,কানি |
৸৹ |
১৩ আনা,পন,কানি |
৸/ |
১৪ আনা,পন,কানি |
৸৵ |
১৫ আনা,পন,কানি |
৸৶ |
১৬ আনা,পন,কানি |
১ পূর্ন/ ১টাকা/ সম্পুর্ন |
Ø
গন্ডা লিখার নিয়মঃ
গন্ডা লিখার আলাদা কোন নিয়ম নেই আমরা অংকে যেমুন ১,২,৩,৪,৫. লিখি ঠিক সেইরকুম
ভাবেই গন্ডা লিখতে হয়। ১ আনা = ২০ গন্ডা। আমরা অংকে ১,২,৩, করে ১৮,১৯ পজন্ত
লিখার পর আনা চিহ্ন (/) লিখতে হয়।
Ø কড়া লিখার নিয়মঃ
আমরা জানি ১ গন্ডা = ৪ কড়া। কড়া লিখার একটি সু-ইস্পষ্ট নিয়ম আছে ও তার চিহ্ন
আছে যাহা নিম্নরুপ- (বি:দ্র: ১ কড়ার চিহ্ন দেখতে ৪ আনার চিহ্নর মত। ২ কড়ার
চিহ্ন ৮ আনা চিহ্নর মত। ৩ কড়ার চিহ্ন ১২ আনার চিহ্নর মত) এখুন তাহলে আমরা
চিনবো/বুঝবো কি করে কোনটি আনার চিহ্ন এবং কোনটি কড়ার চিহ্ন। আমরা সকল সময় মনে
রাখবো খতিয়ানে সর্বপ্রথম আনা তারপরে গন্ডা,কড়া,ক্রান্তি,তিল এভাবে বসে।
Ø একটি উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি দেখানো হচ্ছেঃ
খতিয়ানে আনা হতে শুরু হলে
৸৶১৯৸//১৯,
খতিয়ানে গন্ডা হতে শুরু হলে
৴১৯৸//১৯.
খতিয়ানে কড়া হতে শুরু হলে
৴৸//১৯.
খতিয়ানে ক্রান্তি হতে শুরু হলে
৴//১৯.
খতিয়ানে তিল হতে শুরু হলে
৴১৯.
১ কড়া |
৷ |
২ কড়া |
৷৷ |
৩ কড়া |
৸ |
৪ কড়া |
পূ্র্ন ১ গন্ডা |
Ø ক্রান্তি লিখার নিয়মঃ
আমরা জানি ১ কড়া = ৩ ক্রান্তি। আর এটি লিখার একটি সু-ইস্পষ্ট নিওম আছে ও তার
চিহ্ন আছে যাহা নিম্নরুপ-
১ ক্রান্তি |
/ |
২ ক্রান্তি |
// |
৩ ক্রান্তি |
পূর্ন ১ কড়া |
Ø তিল লিখার
নিয়মঃ
তিল লিখার আলাদা কোন নিওম নেই আমরা অংকে যেমুন ১,২,৩,৪,৫. লিখি ঠিক সেইরকুম
ভাবেই তিল লিখতে হয়। ১ ক্রান্তি = ২০ তিল। আমরা অংকে ১,২,৩, করে ১৮,১৯ পজন্ত
লিখার পর ক্রান্তি চিহ্ন ( /) লিখতে হয়।
ü
বাস্তব উদাহরনের মাধ্যমে আপনাদের বুঝানোর চেষ্টা করিঃ
ক) নিচে একটি আর.এস খতিয়ানের নমুনা চিত্র দেওয়া হলো -এখান হতে আমরা
অংশ বা হিস্যা বের করবো।
ü উপরুক্ত জমি মালিক দের অংশ বা হিস্যা গুল টেবিল আকারে দেখানো
হলোঃ
মালিকের নাম |
হিস্যা বা অংশ |
বিশ্লেষন |
মেহেররুন্নেছা |
/৬৷৷// |
এক আনা,৬ গন্ডা,দুই কড়া,দুই ক্রান্তি। |
জমির উদ্দিন মন্ডল |
৵১৩৷/ |
দুই আনা,১৩ গন্ডা, এক কড়া, এক ক্রান্তি। |
সাহজাহান |
/১৫৷৷১৪ |
এক আনা,১৫ গন্ডা, দুই কড়া, ১৪ তিল। |
পূর্বের আনা, গন্ডা,কড়া,ক্রান্তি,তিল এর সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়-
ü
পূর্বের আনা গন্ডা সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়-
আরমরা জানি ১৬ আনা = ১০০০,পূর্ন ১. এখুন আমরা ১০০০ অংশ কে ১৬ আনা অংশ দিয়ে
ভাগ করলে ১ আনা পেয়ে যাব। অত:এব ১০০০ ভাগ ১৬ = ৬২.৫ অংশ। তাহলে আমরা এখুন
বলতে পারি
১ আনা = ৬২.৫ অংশ।
পূর্বের আনা হিসাব |
বর্তমানের গানিতিক হিসাব |
||
১ এক আনা = |
/ |
১ এক আনা = |
৬২.৫ অংশ |
২ দুই আনা = |
৵ |
২ দুই আনা = |
১২৫ অংশ |
৩ তিন আনা = |
৶ |
৩ তিন আনা = |
১৮৭.৫ অংশ |
৪ চার আনা = |
৷৹ |
৪ চার আনা = |
২৫০ অংশ |
৫ পাঁচ আনা = |
৷/ |
৫ পাঁচ আনা = |
৩১২.৫ অংশ |
৬ ছয় আনা = |
৷৵ |
৬ ছয় আনা = |
৩৭৫ অংশ |
৭ সাত আনা = |
৷৶ |
৭ সাত আনা = |
৪৩৭.৫ অংশ |
৮ আট আনা = |
৷৷৹ |
৮ আট আনা = |
৫০০ অংশ |
৯ নয় আনা = |
৷৷/ |
৯ নয় আনা = |
৫৬২.২ অংশ |
১০ দশ আনা = |
৷৷৵ |
১০ দশ আনা = |
৬২৫ অংশ |
১১ এগারো আনা = |
৷৷৶ |
১১ এগারো আনা = |
৬৮৭.৫ অংশ |
১২ বার আনা = |
৸৹ |
১২ বার আনা = |
৭৫০ অংশ |
১৩ তের আনা = |
৸/ |
১৩ তের আনা = |
৮১২.৫ অংশ |
১৪ চৌদ্দ আনা = |
৸৵ |
১৪ চৌদ্দ আনা = |
৮৭৫ অংশ |
১৫ পনের আনা = |
৸৶ |
১৫ পনের আনা = |
৯৩৭.৫ অংশ |
১৬ ষোল আনা = |
পূর্ন ১/
সম্পুর্ন |
১৬ ষোল আনা = |
১০০০ অংশ |
অঞ্চল ভেদে এখুন কোন কোন এলাকাই আনা,গন্ডা,কড়া,ক্রান্তি,তিল এর হিসাব হয়ে
থাকে- একটি খতিয়ানে যে
পরিমানি থাকুক না কেনে তাকে পূর্ন ১ বা ১৬ আনাই ধরতে হবে। এ জন্য আমর নিচের
বিষয় গুলো মনে রাখবো-
·
১ (ষোল আনা) = ৩২০ গন্ডা (আমরা জানি ১ আনা ২০ গন্ডা সমান)।
·
১ (ষোল আনা) = ১২৮০ কড়া (আমরা জানি ১ গন্ডা ৪ কড়া সমান)।
·
১ (ষোল আনা) = ৩৮৪০ ক্রান্তি (আমরা জানি ১ কড়া ৩ ক্রান্তি সমান)।
·
১ (ষোল আনা) = ৭৬৮০০ তিল (আমরা জানি ১ ক্রান্তি ২০ তিল সমান)।
·
পূর্বের গন্ডা সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়-
আরমরা জানি ১ আনা = ২০ গন্ডা এবং ১ আনা= ৬২.৫ অংশ। এখুন আমরা ৬২.৫ অংশ কে ২০
গন্ডার অংশ দিয়ে ভাগ করলে ১ গন্ডা = পেয়ে যাব। অত:এব ৬২.৫ ভাগ ২০ = ৩.১২৫
অংশ। তাহলে আমরা এখুন বলতে পারি
১ গন্ডা = ৩.১২৫ অংশ।
ü পূর্বের কড়া সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়-
আরমরা জানি ১ গন্ডা = ৪ কড়া এবং ১ গন্ডা = ৩.১২৫ অংশ। এখুন আমরা ৩.১২৫ অংশ
কে ৪ কড়া অংশ দিয়ে ভাগ করলে ১ কড়া পেয়ে যাব। অত:এব ৩.১২৫ ভাগ ৪ = ০.৭৮ অংশ।
তাহলে আমরা এখুন বলতে পারি
১ কড়া = ০.৭৮ অংশ।
ü পূর্বের ক্রান্তির সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়-
আরমরা জানি ১ কড়া = ৩ ক্রান্তি এবং ১ কড়া = ০.৭৮ অংশ। এখুন আমরা ০.৭৮ অংশ কে
৪ ক্রান্তি অংশ দিয়ে ভাগ করলে ১ ক্রান্তি পেয়ে যাব। অত:এব ০.৭৮ ভাগ ৩ = ০.২৬
অংশ। তাহলে আমরা এখুন বলতে পারি
১ ক্রান্তি = ০.২৬ অংশ।
ü পূর্বের তিল সাথে বর্তমান গানিতক হিসাবের সমন্বয়-
আরমরা জানি ১ ক্রান্তি = ২০ তিল এবং ১ ক্রান্তি = ০.২৬ অংশ। এখুন আমরা ০.২৬
অংশ কে ২০ তিল অংশ দিয়ে ভাগ করলে ১ তিল পেয়ে যাব। অত:এব ০.২৬ ভাগ ২০ = ০.০১৩
অংশ। তাহলে আমরা এখুন বলতে পারি
১ কড়া = ০.০১৩ অংশ।
একত্রে আমরা এভাবে বলতে পারি-
·
১ আনা = ৬২.৫ অংশ।
·
১ গন্ডা = ৩.১২৫ অংশ।
·
১ কড়া = ০.৭৮ অংশ।
·
১ ক্রান্তি = ০.২৬ অংশ।
·
১ কড়া = ০.০১৩ অংশ।
ü
উদাহরেনের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া যাকঃ
মনেকরি একটি খতিয়ানে তিনটি মালিক আছে,যা নিম্নরুপঃ
খতিয়ানে মোট জমির পরিমান ১১৩ শতক।
মালিক |
অংশ |
বিশ্লষণ |
গনিত |
পরি: |
নাজু |
৷১৩৷৷/১৬ |
৬২.৫+৩.১২৫*১৩+০.৭৮*২+০.২৬*২+০.০১৩*১৬
= ২৯৩ অংশ |
(১১৩*২৯৩)/১০০০
=৩৩ |
৩৩ শ |
কালু |
৷৶১০৷/১৫ |
৬২.৫*৭+৩.১২৫*১০+০.৭৮+০.২৬+০.০১৩*১৫
= ৪৭০ অংশ |
(১১৩*৪৭০)/১০০০
=৫৩ |
৫৩ শ |
আলম |
৶১৫৸/৯ |
৬২.৫*৩+৩.১২৫*১৫+০.৭৮*৩+০.২৬+০.০১৩*৯
=২৩৭ অংশ |
(১১৩*২৩৭)/১০০০
=২৭ |
২৭ শ |
Ø সর্বশেষ বলা যায় আনা,গন্ডার হিসাব খুব একটি জটিল বিষয় না। তবে খুব সতর্কতার
সহিত এই হিসাব করতে হয় তা না হলে ভূল হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। পরিশেষে
বলি উপরুক্ত বিষয়াদিতে কোন ভূল-ভ্রান্তি লক্ষ করলে অবশ্যই আমাদের অবহিত করবের
আমরা তা সংষোধন করে নিব ইনশাআল্লাহ।
খুব সহজ সমাধান। ধন্যবাদ আপনাকে এত সহজে বুঝানোর জন্য।
ক্লিয়ারলি বুঝছি