ইসলামী ব্যাংক ভিসা ডেবিট কার্ড

আসসালামু আলাইকুম সু-প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনি নিশ্চয়ই ইসলামী ব্যাংকের ভিসা ডেবিট কার্ড সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন! আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি এই বিষয়েই সাজানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

ভিসা ডেভিড কার্ড একটি তরল অর্থ খরচ করার মাধ্যম, আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়, বিল প্রদান, নগদ অর্থ উত্তোলন, এর কাজে ভিসা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। এবং আপনি ব্যাংকের শাখা হতে পারমিশন নিয়ে এটিকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ডুয়েল কারেন্সি করার মাধ্যমে আপনি এটিতে ডলার প্রবেশ করাতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক ভিসা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি আপনার একাউন্টটি যেকোনো সময় পরিচালনা করতে পারেন, এজন্য আপনাকে নগদ অর্থ বহন করার ঝামেলা হতে অনেক সেভ করবে। আপনার কাছে এই কার্ডটি থাকলে আপনি যেকোনো সময় এটিএম মেশিন হতে আপনার প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন, এবং তা প্রয়োজনে খরচ করতে পারবেন।

আধুনিক ব্যাংকিং সিস্টেম কার্ড ও নেট ভিত্তিক অনলাইন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্যাশ কাউন্টার বাদ দিয়ে এটিএম বুথ এবং বর্তমানে ক্যাশ টাকা ছাড়াই আর্থিক লেনদেন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করছে। তাই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ভিসা ডেবিট কার্ড প্রবর্তনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেমেন্ট নেটওয়ার্ক অসুবিধা গ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে।

যার মাধ্যমে গ্রাহকগণ দেশ-বিদেশে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, এয়ারলাইন্স, ট্রাভেলস এজেন্ট, শপিং মল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল, জুয়েলার্স, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার শপ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, বাস ট্রেনের টিকিট ক্রয়, বিমানের বুকিং দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত নিরাপদে ক্যাশ টাকা ছাড়াই আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারছেন।

ভিসা ডেবিট কার্ড, হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন মানি এক্সপেরিয়েন্স কার্ড। যার মাধ্যমে উক্ত কার্ড হোল্ডার খুব সহজেই যে কোন জায়গায়, ব্যবহার করতে পারে। এটিএম কার্ডের বিকল্প বহুবিধ সুবিধা সম্বলিত কার্ড। এই কার্ডটির মাধ্যমে আপনি যাবতীয় পেমেন্ট এবং শপিংমলে পি ও এস এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিল প্রদান করতে পারবেন।

ভিসা ডেবিট কার্ড হচ্ছে একটি ব্যাংক কার্ড, যা এক ধরনের প্লাস্টিক পেমেন্ট কার্ড হিসাবেও পরিচিত। এটির মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো বুথ হতে খুব সহজেই আপনার একাউন্ট হতে আপনার প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যা আপনার একাউন্টে বিদ্যমান অর্থ হতে কর্তন করা হবে।

এটিএম কার্ড ও ভিসা ডেবিট কার্ড কি একই জিনিস

আরো দেখুনঃ- ইসলামী ব্যাংক এর ওয়েবসাইট। 

জ্বি না! এটিএম কার্ড ও ভিসা ডেবিট কার্ড একই জিনিস নয়। এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে এটিএম কার্ড শুধু মাত্র এটিএম মেশিনে ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করা যায়। পক্ষান্তরে ডেবিট ভিসা কার্ড এর মাধ্যমে এটিএম হতে টাকা উত্তোলনসহ, বিল প্রধান, শপিং মলের মার্কেট করে বিল প্রদান সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

ভিসা কার্ডের মাধ্যমে আপনাকে নগদ অর্থ বহনের ঝামেলা হতে মুক্তি প্রদান করে, এই গানটির মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় বেশ কিছু কাজ করতে পারবেন যেমন- দেশ-বিদেশে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্রাভেলস এজেন্ট ডায়াগনস্টিক ,সেন্টার, হাসপাতাল প্রভৃতি তে আপনার ধার্যকৃত বিল ডেবিট ভিসা কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। যা এটিএম কার্ড এর মাধ্যমে সম্ভব নয়।

বর্তমান সময়ে ভিসা ডেবিট কার্ডের ব্যবহার গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে আপনি অর্থ আদান প্রদান করতে পারবেন। ভিসা ডেভিড কার্ড এর মাধ্যমে শুধুমাত্র এটিএম বুথ হতে টাকা উত্তোলন করায় নয় বরং ভিসা লোগো সংযুক্ত যত প্রিয় এস এবং ভিসা ডেভিড কার্ড ব্যবহার হয় সকল জায়গায় এটি ব্যবহার করা যাবে।

যে দোকানে বিওএস আছে সেখানে পূর্ণ পছন্দ করে আপনার কার্ডটি পি ও এস মেশিনে প্রবেশ করিয়ে মেশিনের নির্দিষ্ট টাকার পরিমান লিখে পেমেন্ট করতে হয়। এর ফলে উক্ত টাকার পরিমাণ আপনার একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয় এবং মেশিন থেকে ভাউচার প্রিন্ট প্রদান করা হয়।

ইসলামী ব্যাংকের ভিসা ডেবিট কার্ড যদি চুরি হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়, তাহলে আপনাকে যা করতে হচ্ছে তা হলো। প্রথমেই আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। অথবা ইসলামী ব্যাংক এর কল সেন্টার ১৬২৫৯ বা ৮৩৩১০ নাম্বারে ফোন করে জানালে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার উক্ত কার্ডটির লেনদেন বন্ধ করে দিবেন।

এই কাজটি পেতে হলে আপনাকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হবে। হতে পারে সেই অ্যাকাউন্টটি সেভিং একাউন্ট অথবা কারেন্ট একাউন্ট। আর এই অ্যাকাউন্ট গুলো ওপেন করতে হলে প্রথমে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের কোন একটি শাখায় উপস্থিত হয়ে, আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।

নমিনির এক কপি ছবি, দুইজনেরই জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, এবং ইসলামী ব্যাংক কে একাউন্ট আছে এমন একজন ব্যক্তির স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট ওপেন করতে হবে, কারেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স জমা দিতে হবে।

ইসলামী ব্যাংকের ভিসা ডেবিট কার্ডটি ডুয়েল কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আপনি ইসলামী ব্যাংকের ভিসা ডেবিট কার্ড হতে ডলার এক্সপেন্স করে কেনাকাটা পেমেন্ট, পোস্টিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

সেলফিঃ-ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক এর ভার্চুয়াল কার্ড হিসেবে দুইটি অ্যাপস পরিচালিত হচ্ছে একটি হচ্ছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার সেভিং একাউন্ট এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। যেকোনো সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি লেনদেন করতে পারছেন, কেনাকাটা করতে পারছেন এবং বিল পেমেন্ট করতে পারছেন।

আরো একটি অ্যাপস যার নাম আই ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও আপনি ভার্চুয়ালি আপনি নিজে নিজেই আপনার ফোন হতে যেকোনো সময় আপনার ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হতে টাকা লেনদেন করতে পারছেন। আই ব্যাংকিং এর সুবিধা অনেক একাধিক কার্ড বা অ্যাকাউন্ট সেভ করা যায়, এবং তা আপনি যেকোনো সময় স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারছেন।

ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ডটি আপনার যদি থেকে থাকে তাহলে আপনি এর থেকে কয়েক ধরনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন, আপনি সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত না হয়েও আপনার লেনদেনটি পরিচালনা করতে পারবেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে যে কোন সময় আপনার নিকটস্থ এটিএম বুথ হতে আপনার প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভিসা ডেভিড কার্ড একটি তরল সম্পদ খরচ করার মাধ্যমে। অতএব আপনি এই গানটি সংগ্রহ করে খুব সাবধানের সেই ব্যবহার করবেন। পরিশেষে বলতে চাই আমাদের উত্তর-পুষ্টি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার পরিচয়টা জানার মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আমাদের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ