গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা ও অসুবিধা, google কনটেন্ট পলিসি

আসসালামু আলাইকুম! সু-প্রিয় পাঠক বৃন্দ। আজ আপনাদেরকে জানাবো গেস্ট ব্লগিং কি এর সুবিধা ও অসুবিধা, google কনটেন্ট পলিসি কি কি হয়, এবং জানাবো আর্টিকেল রেখার ফরমেটিং কিভাবে করতে হয়। চলুন তাহলে আমরা উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে একটু ভালো হবে জেনে আসি। মনে রাখবেন কোন কিছু অল্প পড়েই কোন মন্তব্য করা যাবেনা, শেষ পর্যন্ত পড়ে বুঝে তারপরেই মন্তব্য করতে হয়।

যেকোনো আর্টিকেল পড়তে হলে বা ব্লগ পড়তে হলে আপনাকে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পড়ে তা বুঝে নিতে হবে যদি না বুঝে শুধু রিডিং পড়ে যান তাহলে ব্লক দিতে কি বলার চেষ্টা করেছে তা আপনি খুঁজে পাবেন না। এবং আপনি যদি একজন আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো ভালোভাবে উপলব্ধি করে যাবেন যাতে করে আপনার লেখাটিও একটি ভালো ফরমেটিং এ হয়।

আপনি যদি একজন আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন বা প্রথম আর্টিকেল রাইটিং এর জগতে পা রেখেছেন তাহলে আপনার উচিত হবে আপনার নিজের ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার পাশাপাশি গেস্ট ব্লগিং করেও কিছু অর্থ উপার্জন করা। তবে মনে রাখতে হবে, গেস্ট ব্লগিং একটি প্রপার সমাধান কখনোই নয়। বরং আপনার ওয়েবসাইটেই ব্লগিং করা বেশি সমুচিত।

গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে অন্যের একাউন্টে বা অন্যের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করা। মনে করেন আপনি সুন্দরভাবে ব্লগ লিখতে পারেন! সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়ে সেখানে ব্লগিং করতে পারেন। অথবা ইতিমধ্যেই যাদের ওয়েবসাইট আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ওয়েব সাইটে আর্টিকেল লিখে জমা দিতে পারেন উক্ত ওয়েবসাইটের মালিকের অনুমতির সাথে।

আরো পড়ুনঃ স্ক্রিনশটস টেকনিক ও কপিরাইটিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে ধারণা

গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। আমাদের এ দেশে অনেক ওয়েবসাইটের মালিক আছে যারা টাকার বিনিময়ে ব্লগিং করিয়ে থাকে। আপনি যদি ভালো মানের ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তাদের হাতে ব্লগিংয়ের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে আপনাকে ব্লগ লিখে তাদের ওয়েবসাইটে জমা দিতে হবে।

ব্লগার হলো নিজস্ব মতামত তুলে ধরা ও যোগাযোগ সংক্রান্ত একটি পরিষেবা। তবে ব্লগারের কনটেন্ট সম্পর্কিত কিছু নীতিমালা রয়েছে নিচে তা দেওয়া হলো-

আর্টিকেল লেখালেখি করার জন্য একটি সুন্দর ফরমেট রয়েছে যা প্রতিটি আর্টিকেল রাইটার এর অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাতে করে আর্টিকেল রাইটার এর আর্টিকেলটি অনেক সুন্দর হয়। তাহলে চলুন এখন আমরা এই বিষয়ে জেনে আসি।

প্রথমে আপনাকে যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে অর্ডিন্যান্স বা পাঠক বিন্দুর ইন্টারেস্ট বা মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। একজন পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে হলে আপনাকে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে একটি সুন্দরভাবে, ম্যাজিকাল টাইটেল উপস্থাপন করতে হবে। যাতে করে পাঠক উত্তর টাইটেল দেখে আপনার আর্টিকেলটি পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।

আপনাকে আর্টিকেল লিখার সময় অবশ্যই অডিয়েন্স বা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য কিছু ভাষা বা শব্দ চয়েস করতে হবে, যাতে করে পাঠকের মনে হয় আপনি ওনার সাথেই কথা বলছেন এবং তিনি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করছে।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটজি, টপিক খোঁজা, কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস

আপনি যে আর্টিকেলটি লিখছেন তার মধ্যে কিছু লিংক জুড়ে দিতে হবে, আপনার লেখালেখি করার বা আর্টিকেলটির সংশ্লিষ্ট বিষয়। ধরুন আপনি আইটি বিষয়ক আর্টিকেল লিখছেন। তাহলে আপনাকে আপনার টাইটেল কৃতজ্ঞ আর্টিক্যাল এর মধ্যেই আপনার আইটি বিষয়ক অন্য আরেকটি আরটিকালের লিংক প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে।

অ্যাকশন বাটন যোগ করতে হবে, এসইও অপটিমাইজেশন, বিজ্ঞাপন এর অপশন আপনার আর্টিকালের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে যাতে করে আপনার আর্টিকেলটি পড়ার পাশাপাশি কিছু বিজ্ঞাপন পাঠক দেখতে বা পড়তে পারে, উক্ত বিজ্ঞাপনটি দেখাবো পড়ার মাধ্যমেও আপনার কিছু অর্থ উপার্জন হয়ে যাবে।

আপনাকে একটি আর্টিকেল সম্পূর্ণভাবে লিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু ফরমেটিং করতে হবে। যাতে করে আপনার লেখা আর্টিকেলটি আপনার পাঠক মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার ধৈর্য রাখতে পারে। যতক্ষণ আপনার ওয়েবসাইটে আপনার পাঠক অবস্থান করবে আপনার জন্য ততই ভালো।

আপনি চাইলে গেস্ট ব্লকিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে সেটি যেন গুগল কন্টেন্ট পলিসি এর বিরুদ্ধে না চলে যায় সেটি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আর অবশ্যই আপনাকে আপনার পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে আপনার আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে উক্ত পাঠক পড়ে নেই।

পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে পরিচিত জনদের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।