ফেরেস্তা কারা এবং তাদের পরিচয় কি সাতজন ফেরেস্তা সম্পকে জানুন
আসসালামু আলাইকুম! সুপ্রিয় পাঠক বিন্দু আপনাকে জানাই আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড এ স্বাগতম। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই মুহূর্তে আপনি ফেরেশতা কারা এবং তাদের পরিচয় কি সাতজন ফেরেশতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজ আমরা এই আর্টিকালের মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেছি। আশা করছি আপনি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি কন্টিনিউ করবেন।
ফেরেশতা মূলত একটি ফারসি শব্দ! আরবিতে মালাকুন (একবচন), মালাইকা (বহুবচন) ব্যবহার করা হয়েছে। ফেরেশতা হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি জগতের একটি সম্মানিত সৃষ্টি। যারা সার্বক্ষণিক আল্লাহর হুকুম আহকাম মানতে বাধ্য, তাদের কোন খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন হয় না, তাদের কোন ক্লান্তি নাই, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় না, এবং জৈবিক চাহিদার প্রয়োজন হয় না।
ভূমিকা
ফেরেশতা আল্লাহর একটি সৃষ্টি। ইসলামিক পরিভাষায় ফেরেশতাগণ আল্লাহর নির্দেশে প্রয়োজন অনুযায়ী তারা ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে, এবং তাদের কার্য কলাপ আল্লাহর নির্দেশেই পালন করে থাকে, ফেরেশতাগণ কখনো আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে না এবং সার্বক্ষণিক আল্লাহর নির্দেশে আল্লাহর গুনোগান করে থাকে।
ফেরেশতা কারা এবং তাদের পরিচয়
ফেরেস্তাগণ হচ্ছে আল্লাহর একটি সম্মানিত সৃষ্টি, আমরা মানুষ যেমন মাটির সৃষ্টি ঠিক তেমনি ফেরেশতারা হচ্ছে নূরের তৈরি। ফেরেশতাগণ আল্লাহর নির্দেশে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করে থাকে। আল্লাহ তাআলা তাদের আকার আকৃতি বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজন ক্ষেত্রে পরিবর্তন করার অনুমতি দিয়েছেন।
তারা ক্লান্তহীন ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে। তারা কোন সময়ের জন্য আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে না। ফেরেশতাগণ এর প্রয়োজন হয় না খাওয়া-দাওয়ার, প্রয়োজন হয় না বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার, প্রয়োজন পড়ে না জৈবিক চাহিদার। তারা এই সকল কাজ হতে সম্পূর্ণ মুক্ত।
আল্লাহর নির্দেশে তারা বিভিন্ন দায়িত্বে কর্তব্য পালন করে থাকেন। এদের সংখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তবে আল্লাহ যতটুকু আমাদেরকে জানিয়েছেন ফেরেস্তা সম্পর্কে আমরা ঠিক ততটুকুই জানি তার বেশি কিছু আমাদের জানার অবকাশ নেই।
সাতজন ফেরেশতা নাম ও দাইত্ব সম্পর্কে জেনে নিই
আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি অগণিত ফেরেশতা মন্ডলী রয়েছেন, আমরা তার সংখ্যা সম্পর্কে অবগত নয়, এর সংখ্যা সম্পর্কে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তবে কোরআন ও হাদিসে উল্লেখিত বেশ কিছু ফেরেস্তা সম্পর্কে আমরা জেনেছি এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কেও আমাদের জানানো হয়েছে। তারই মধ্যে হতে আমরা আজ এই আর্টিকালের মাধ্যমে আপনাকে সত জন ফেরেশতার নাম এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আপনাকে জানাচ্ছি। চলুন জেনে নিই-
- হযরত জিব্রাইল (আঃ) তার দায়িত্ব নবী ও আমবিয়া রাসুলগণের বার্তা বহন করা।
- হযরত মিকাইল (আঃ) তার দায়িত্ব সকল প্রাণীকুলের জীবিকা অর্থাৎ রুজি বন্টন করা।
- হযরত আজরাইল (আঃ) তার দায়িত্ব প্রাণীকুলের মৃত্যু ঘটানো অর্থাৎ রুহ কবজ করা।
- হযরত ইসরাফিল (আঃ) তার দায়িত্ব কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার জন্য সিংগাই ফু দেওয়া।
- কিরামান-কাতেবিল তাদের দায়িত্ব মানুষের এবং জীনদের দৈনন্দিন কার্যকলাপের কার্য লিপিবদ্ধ করা।
- মুনকার নাকির তাদের দায়িত্ব মৃত ব্যক্তির কবরে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা।
- হযরত মালেক তার দায়িত্ব তিনি জাহান্নামের দায়িত্বে কর্তব্য পালন করবেন।
প্রধান চারজন ফেরেস্তা সম্পর্কে বিস্তারিত
আল্লাহ তাআলার অগণিত ফেরেশতা মন্ডলী রয়েছেন, তাদের মধ্যে হতে চারজন ফেরেশতা প্রধান চারটি দায়িত্বে কর্তব্য রতে রয়েছে। আমরা এ পর্যায়ে আপনাকে ওই চারজন ফেরেশতা সম্পর্কে জানাতে চলেছি যারা আল্লাহ তায়ালার অগণিত ফেরেশতার মধ্যে অন্যতম। চলুন তাহলে সেই চারজন ফেরেশতা কে কে তা জেনে নিই।
হযরত জিব্রাইল (আঃ)
মহান আল্লাহ তায়ালার বার্তাগুলো যে ফেরেশতার মাধ্যমে নবী ও রাসূলগণের মাঝে প্রেরণ করা হতো তিনি হচ্ছেন হযরত জিব্রাইল (আঃ) আর তাকে রুহুল আমিন নামে অভিহিত করা হয়। হযরত জিবরাঈল (আঃ) এই পৃথিবীতে যতবার এসেছেন তার মধ্যে সর্বাধিক এসেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট। এবং তিনি ফেরেশতাগণের সর্দার।
হযরত মিকাইল (আঃ)
মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে তিনি সকল প্রাণীকুলের জীবিকা অর্থাৎ রুজি বন্ধন এর কাজে এবং বৃষ্টি বর্ষণের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আল্লাহর নির্দেশে তিনার মাধ্যমে বান্দাগণ অর্থাৎ প্রাণীকুল তাদের রিজিক পেয়ে থাকেন এবং এই পৃথিবীর বুকে বৃষ্টি বর্ষণ হয় তারই পরিচালনায়।
হযরত আজরাইল (আঃ)
মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে তিনি সকল প্রাণীকুলের রুহ কবজ করার দায়িত্ব নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি মালাকুল মউত হিসাবেও বেশ পরিচিত। প্রতিটি প্রাণী তিনার দেখা জীবন দশায় একবার পেয়ে থাকেন। তিনি যার নিকট আসেন তিনি আর এই পৃথিবীতে থাকতে পারেন না।
হযরত ইসরাফিল (আঃ)
মহান আল্লাহর নির্দেশে তিনি সিঙ্গাই অর্থাৎ বাঁশিতে ফু দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আল্লাহর নির্দেশে যখন বাসিতে ফু দিবেন তখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। তিনি এখনো পর্যন্ত আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
উপসংহার
ফেরেশতাগণ আল্লাহর নির্দেশে সকল কার্য পরিচালনা করে থাকে, এবং তারা সকল সময়ের জন্য আল্লাহর ইবাদতে মুসকিল থাকে, তারা আলোর নির্দেশ ব্যতীত কোন কাজ করে না। ফেরেশতাদের সংখ্যা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহ তা'আলা অবগত তাছাড়া আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যে সকল ফেরেশতা সম্পর্কে অবগত করেছেন ঠিক আমরা ততটুকুই জানি আর ফেরেশতাগণের উপর বিশ্বাস আনা আমাদের উপর ফরজ।
পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সহ আপনার পরিচিত জনদেরকে আমাদের এই ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড ফলো করুন যাতে করে আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলগুলো আপনার নোটিফিকেশনে চলে যায় এবং আপনারা তা স্বাচ্ছন্দ্যে পড়ে নিতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত বেস্টওয়াল্ডের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url