OrdinaryITPostAd

শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্ট অল্ড এ স্বাগতম। আপনি এই মুহূর্তে শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা উক্ত বিষয়টি নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার কাঙ্খিত চাহিদাটি পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছি।
শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
শুরু হয়ে গেছে শীতকাল, শীতকাল মানেই আনন্দ, হই-হুল্লোর, পিকনিক, এবং নানান ধরনের পুরি পিঠার আমেজ, এবং নানামুখী আয়োজন খাওয়া-দাওয়া মজ মস্তি। তবে এরই ফাঁকে একটি বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে এই শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা। কারণ শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়া আপনার শরীরের সুস্থতা অনুভূত হয়।

ভূমিকা

শীতকাল আমাদের সকলের কাছেই অতি জনপ্রিয়। কিন্তু এই ঋতুতেই আমরা অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভুগি। শীতের আমেজের ছোঁয়া শরীরের জন্য আরামদায়ক হলেও, ত্বকের জন্য সবার জন্য বিষয়টি মোটেও একই নয়। তক্তিন ধরনের হয় তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক, মিশ্র ত্বক। তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক এবং মিশ্র ত্বক তাদের সমস্যা একটু কম হলেও যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের কাছে শীত কাল মনে এক দুঃস্বপ্ন।

ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

গোসুলের সময় যতটা সম্ভব সাবান ব্যাবহার করা হতে বিরত থাকবেন। প্রয়োজনে গোসুলের পর আপনি সরিষার বা নারিকেলের তৈল ব্যাবহার করতে পারেন।
  • ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে আপনি নিয়মিত অলিভয়েল তৈল বা গ্লিসারিন ব্যাবহার করতে পারেন। নিওম টি হচ্ছে এক ভাগ গ্লিসারিন এবং দুই ভাগ পানি নিয়ে শরিরে ব্যাবহার করতে হবে।
  • আপনি রাত্রে শুওয়ার আগে মশচারাইজার ব্যাবহার করতে পারেন অথবা আপনি বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের লোশন বা ক্রিম এগুলোর মধ্যে ভালো মানের দেখে ক্রয় করে ব্যাবহার করবেন।
  • প্রচুর পরিমান পানি পান করুন কারন শীতে আপনার শরিরে পানির ঘাড়তি হতে পারে,যার ফলে আপনার শরির শুষ্ক দেখায়।
  • সানলাইট হতে যতটা সম্ভব হয় দৃরে থাকতে হবে।

শুষ্ক ত্বকের লক্ষণ

শুষ্ক ত্বক শরীরের একটি পোকারভেদ মাত্র। আমরা বেশ কয়েক ধরনের ত্বক লক্ষ্য করে থাকে তার মধ্যে শুষ্ক ত্বক একটি। তবে চিন্তার বিষয় হলো শীতকালে শুষ্ক ত্বক নিয়ে নানান ধরনের জটিলতায় পড়ে যেতে হয়। এজন্য আপনার শুষ্ক ত্বকটি মুসলিম করতে এবং সেটি যন্ত্রণাদায়কের হাত হতে বাঁচাতে আপনাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। চলুন এই মুহূর্তে দেখে আসি শুষ্ক ত্বকের লক্ষণসমূহ।
  • আপনার শরীরে চামড়া উঠে যাবে, এবং তা খসখসে অনুভব হবে।
  • শীতকালে জুতা পরার পরেও আপনার পায়ের গোড়ালি ফেটে যাবে।
  • গোসলের পর আপনার ত্বক টানটান অনুভব করবেন।
  • আরো পড়ুনঃ চা পাতায় কোন ভিটামিন থাকে
  • অনেক সময় মাথার খুশকি অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যায়।
  • শুষ্ক ত্বকের কারণে চুলকানি, খসখসে ভাব, পিম্পিল, ইত্যাদি শরীরের মধ্যে আবির্ভাব হয়।
  • হঠাৎ করে আপনার শরীরে অমুসৃণতা এবং সাদা সাদা দাগ অনুভব হয়।

শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধের উপায়

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম আমরা বিষয়টি হরহামেশাই জেনে আসছে। এখন যদি আপনাকে বলতে যাই প্রতিরোধ আর প্রতিকারের মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে বিষয়টি অন্যরকম দাঁড়াবে। আপনি যদি বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড ঘুরে আসতে পারেন সেখানে বিস্তারিত বলা আছে। এই মুহূর্তে চলুন আমরা প্রতিরোধ বিষয়ে কয়েকটি ধাপ জেনে নিই।
  • ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণটি প্রথমত খুঁজে বের করুন।
  • বাজারে বিভিন্ন ধরনের লোশন, ময়েশচারাইজার পাওয়া যায় সেগুলো হতে ভালো মানের লোশন ব্যবহার করুন।
  • আপনার যদি চর্ম রোগের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লোশন বা মশ্চারাইজেশন ব্যবহারের পূর্বে একজন অভিজ্ঞ চর্ম বিশেষজ্ঞ কে দেখিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ঔষধ অথবা লোশন ব্যবহার করুন।
  • শীতের সময় অধিক পরিমাণে ঠান্ডা পানি অথবা অধিক পরিমাণে গরম পানি ব্যবহার হতে বিরত থাকুন। স্বল্প কুসুম গরম পানিতে অল্প পরিসরে আপনার গোসল সেরে নিন।
  • অধিক পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ পানি এমন একটি উপাদান যা দেহের অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

শীতকাল নিজেই একটি রুক্ষ বা শুষ্ক ঋতু যার ফলে অনেক মানুষেরই দেখা যায় ত্বকের এক্সটা কেয়ার নিতে কারণ তাদের তকটি শুষ্কতা অনুভূত হয়। এজন্য আপনি আপনার শুষ্ক ত্বকটি মসৃণ করতে বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া এবং চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করতে পারেন। চলুন আমরা বিষয়টি দেখে নিই।

ঘরোয়া টিপস

  • মধু একটি এমন উপাদান যা মৃত্যু ব্যতীত প্রতিটি রোগের প্রতিষেধক তাই আপনি আপনার মসৃণ করতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু আপনার শরীরে লাগিয়ে নিয়ে কিছু সময় অবস্থান করার পর গোসল করে ফেলুন।
  • দুধ একটি অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান আপনার শুষ্ক ত্বকে দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা দুধ একটি পরিষ্কার কাপড়ে ভিজিয়ে নিয়ে আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন এবং কিছু সময় পর তা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন এটি ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে আপনার শুষ্ক ত্বক টি ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
  • নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। শরীরের মসৃণতা দূর করতে নারিকেল তেল অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। এটি আপনি প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন এবং তা সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে আপনার ত্বকটি মসৃণ অনুভূত হয়ে যাবে।
  • লেবু একটি অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান শুষ্ক ত্বক দ্রবীভূত করার জন্য। লেবুতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা আপনার শুষ্ক চামড়া সতেজ করতে সক্ষম। লেবুকে ফালি ফালি করে কেটে আপনার ত্বকে লাগিয়ে দিন এবং কিছু সময় পর আপনার ত্বক টি ধুয়ে ফেলুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী

  • আপনার ত্বকে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং আপনার ত্বকে সুইটেবল একটি মশ্চারাইজ ব্যবহার করুন।
  • আরো পড়ুনঃ  খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং দিনে কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত
  • বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, লোশন, মশ্চারাইজার ইত্যাদি পাওয়া যায় তা আপনি ভালো মানের যা আপনার ত্বকে সুইটেবল এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

উপসংহার

ত্বক মানুষের এমন একটি অঙ্গ যা প্রকাশ্য। এটি নিজের যতটি ভালোলাগা ঠিক তেমনি আপনার আশেপাশের লোকজনের ও ভালোলাগা অর্থাৎ আপনার ত্বকটি যদি মসৃণ হয় তাহলে আপনাকে যেমন স্বাচ্ছন্দবোধ এনে দেবে। ঠিক তেমনি আপনার পাশে থাকা মানুষজনের ও ভালো লাগে কাজ করবে, তাই আপনার ত্বকের যত্ন নিন।

লেখকের কথা

চলে এসেছে শীতকাল! আপনার যদি ত্বকের সমস্যা সত্যিই থেকে থাকে তাহলে আর দেরি না করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, যাতে করে আপনার ফুটে না ওঠে।

পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনিসহ আপনার পরিচিতজনদের মাঝে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড এ ফলো দিয়ে রাখুন যাতে করে পরবর্তী আর্টিকেলগুলো আপনার নোটিফিকেশনে চলে যায়।

শেষ পর্যন্ত বেস্টওয়াল্ডের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url