OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

আসসালামু আলাইকুম! সু-প্রিয় পাঠক বৃন্দ, বেস্টওয়াল্ডের ওয়েবসাইডে আপনাকে স্বাগতম। আমরা লক্ষ্য করছি যে, আপনি এই মুহূর্তে গর্ভ অবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আশা করছি আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে উক্ত বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলার খুদার পরিমাণ একটু বেশি থাকে। এজন্য গর্ভবতী মহিলাদেরকে সব সময় উৎকৃষ্ট মানের খাবার সরবরাহ করতে হয়। আমাদের সমাজে সকলেই চাই অনাগত সন্তানের গায়ের রং যাতে করে উজ্জ্বল বা ফর্সা হয়। তাই আজকের আলোচনায় আমরা আমাদের বয় বৃদ্ধ দাদী নানীদের রেফারেন্সে যে সকল খাবার তালিকা থাকে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তা জানানোর চেষ্টা করব।

ভূমিকা

খাওয়া-দাওয়ার ইফেক্ট গর্ভবতী নারীর শরীরের মধ্যে বেড়ে ওঠা অনাগত বাচ্চার উপর পরে ঠিকই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে খাওয়া দাওয়ার উপর নির্ভর করে গর্ভবতী মহিলার শরীরের বেড়ে ওঠা শিশুর গায়ের রং ডিপেন্ড করে না। বরং একজন শিশুর গায়ের রং কি হবে তা নির্ভর করে উক্ত শিশুর পিতা ও মাতার জীনের উপর নির্ভর করে।

গায়ের রং উজ্জ্বল কিংবা ফর্সা হওয়া কি খুবই জরুরী

আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত যে মানুষের গায়ের রং বিচার করে কখনো মানুষকে বিচার করা হয় না। বরং মানুষের আচার-ব্যবহার এবং মানসিকতা বিচার করে একটি মানুষকে বিবেকবান কিংবা বিবেকহীন বিবেচনা করা যায়। তাই আমার মনে হয় গায়ের রং বিষয়টি মোটেও একজন মানুষ কি রকম হবে এটার মানদণ্ড হতে পারে না।

আজ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে বসবাস করছি, আজকে বিজ্ঞান ও ইন্টারনেটের এত জয়জয়কার। আমরা এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এসেও অনেকে আছেই যারা গায়ের রং বাদ বিচার করি। আপনি একটু ভেবে দেখেন তো একজন মানুষের গায়ের রং বিবেচনা করে কি সেই মানুষটিকে জাজ করা যায়। সেটা তো হয়ে গেল বর্ণভেদের বিষয়।

আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, আপনার অনাগত শিশুটির গায়ের রং ফর্সা হবে নাকি কালো হবে সেটি নির্ধারণ হবে আপনার অনাগত শিশুটির পিতা এবং মাতার এবং তাদের বংশীয় পরম্পরায় ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। এতে আপনি কি খেলেন কিংবা গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে কি খাওয়ালেন সেটি কিন্তু মুখ্য বিষয় নয়।

বরং আপনি এটি ভাবতে পারেন যে, অনাগত শিশুটির স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। গর্ভবতী মহিলাকে অর্থাৎ আপনার অনাগত শিশুটির মাতাকে আপনি উৎকৃষ্ট মানের খাবার প্রোভাইড করবেন। আশা করছি আপনি কখনোই আপনার অনাগত শিশুটির গায়ের রং নিয়ে কখনোই চিন্তিত হবেন না।

আজকেও আমাদের সমাজে বিভিন্ন অমানুষ রয়েছেন যারা মানুষের গায়ের রং নিয়ে বাঁধ বিচার করে, অনেকে তো ভেবেই বসে থাকেন যে কালো হলেই সেটি ভিখারি, চাষা ,অশিক্ষিত। আর গায়ের রং যদি ফর্সা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই শিশুটির সেই মানুষটি সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় শিশু। আজকের যুগেও আমরা বর্ণভেদকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

আফসোসের বিষয় এই যে, আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বর্ণবাদিত্ত মানুষদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে পৃথিবীর বুকে বহু ইতিহাস রয়েছে যারা কৃষ্ণবর্ণ হয়েও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে গেছে যা একজন সেতো বা উজ্জ্বল এবং ফর্সা বর্ণের মানুষও সে সকল ভূমিকা পালন করেছে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

যাই হোক চলনে এখন আমাদের মূল বিষয়ে ফিরে যাওয়া যাক। তা না হলে তো আপনি আবার রাগ করবেন। আসলে বিষয়টি রাগের নয় এবং বিশেষজ্ঞরাও এ বিষয়ে একমত যে গর্ভ অবস্থায় খাবারের ফলে গর্ভে থাকা শিশুর গায়ের রঙের কোন পরিবর্তন হয় না। তবে আমাদের বয়- বৃদ্ধ দাদী নানীদের পরম্পরায় হতে আগত কিছু ঘরোয়া টিপস রয়েছে যা খেলে মনে করা হয় গর্ভের সন্তানের গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়।

চলুন উক্ত খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • কমলা- কমলা থাকে ভিটামিন সি যা গর্ভ অবস্থায় একজন মায়ের খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এতে করে গর্ভ অবস্থায় বেড়ে ওঠা গর্ভের শিশুর শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এটা মানা হয় যে গর্ব অবস্থায় বেশি বেশি কমলা খেলে গর্ভের শিশুটির গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়।
  • ডিম- ডিম এমন একটি খাদ্য উপাদান যা প্রতিটি মানুষের জন্য উপকারী। তবে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য ডিম খাওয়া সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজন। কারণ তিনি এখন একা নন, তিনার গর্ভে বেড়ে উঠছে অনাগত ভবিষ্যৎ। অবশ্যই তার অনাগত শিশুর জন্য বা তার শিশুর কথা চিন্তা করে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা উচিত। এছাড়াও প্রচলিত ধারণা মতে গর্ব অবস্থায় অর্থাৎ গর্ভধারণের তিন মাস পর হতে একজন মা যদি ডিমের সাদা অংশ খেয়ে থাকে তাহলে তার গর্ভের শিশুটির গায়ের রং ফর্সা হয়।
  • দুধ- এমন একটু খাদ্য যাতে রয়েছে সকল ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন। এটা মানা হয় যে একজন ব্যক্তি যদি দুধ প্রতিনিয়ত খায় তাহলে সে যদি আর কোন খাবারও না খায় তাহলে তার সকল ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। আর এজন্যই একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধে রাখাটা জরুরী।
  • জাফরান দুধ- প্রচলিত ধারণা মতে মনে করা হয় যে দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেলে একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুটির গায়ের রং ফর্সা হয়।
  • চেরি ফল- গর্ভাবস্থায় একজন মহিলা তার গর্ভের সন্তানের জন্য চেরি ফল খেলে সেই শিশুটির গায়ের রং উজ্জ্বল হয় এটি প্রচলিত ধারণা মতে জানা যায়।
  • নারিকেল- নারিকেল এমন একটি ফল যা একজন গর্ভবতী মহিলা বেশি পরিমাণে এটি খেলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। তবে এটি অল্প পরিমাণে খাওয়া যায়, কারণ প্রচলিত ধারণা মতে একজন গর্ভবতী মহিলাকে নারিকেল খাওয়ালে অর্থাৎ নারীকেলের সাদা অংশটুকু খাওয়ালে গর্ভের সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হয়।
  • টমেটো- টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড যা আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি কি রুখতে সাহায্য করে। মূলত এ কারণেই একজন গর্ভবতী মহিলাকে টমেটো খাওয়ার কথা সাজেস্ট করা হয়। তবে প্রচলিত ধারণা মতে এটা মানা হয় যে একজন গর্ভবতী মহিলা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টমেটো খেয়ে থাকে তার গর্ভকালীন সময়ে তাহলে তার গর্ভের বেড়ে ওঠা বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়ে থাকে।

উপসংহার

প্রতিটি গর্ভবতী মহিলা কে তার গর্ভকালীন সময়ে, তার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর কথা মাথায় রেখে পুষ্টিকর ও ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হয়। যাতে করে অনাগত শিশুটির শারীরিক ও মেধা শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে কোন মানুষেরই এই ধারণা মনে পোষন করা উচিত হবে না যে, গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুটির গায়ের রং কি হতে চলেছে? এবং তার জন্য কৃত্রিমভাবে কোন কিছু করা যায় কিনা।

লেখক এর কথা

আমাদেরকে বর্ণভেদ হতে মন মানসিকতা সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এবং একজন শিশুকে প্রকৃতভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আপনার শিশুটিকে আপনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন। এমন কোন কাজ করবেন না যাতে করে তার মনের মধ্যে বর্ণভেদের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

কারণ একজন মানুষ কালো হবে নাকি ফর্সা হবে সেটা নির্ধারণ করে সৃষ্টি কর্তা অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের বেশি চিন্তিত না হওয়াটাই শ্রেয়। কারণ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ! সে বর্ণেরই হোক না কেন।

পরিশেষে বলতে চাই যে আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনি সহ আপনার পরিচিতজনদের মাঝে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড টিকে ফলো করে রাখুন। যাতে করে পরবর্তীতে পাবলিশ কৃত আর্টিকেলগুলো আপনার নোটিফিকেশনে চলে যাই। এবং তা আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে পড়ে নিতে পারেন।

শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই বেস্টওয়াল্ড এর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url