ওয়ারিশ সম্পত্তি না দিতে চাইলে খুব সহজে বের করার নিওম

আসসালামু আলাইকুম! সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড এ স্বাগতম। আপনি এই মুহূর্তে ওয়ারিশান সম্পত্তি না দিতে চাইলে খুব সহজে বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে যাবেন।

ওয়ারিশন সম্পত্তি হচ্ছে পিতা, মাতা, দাদা, নানা, দাদি, নানী, ভাই, বোন, ছেলে, মেয়ে ইত্যাদি ব্যক্তি হতে প্রাপ্ত সম্পত্তি। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে আমাদের ঊর্ধপুরুষ এবং নিম্ন পুরুষ গণের মৃত্যুর পর তার তেক্ত সম্পত্তিতে যে সকল ব্যক্তিবর্গ উক্ত সম্পত্তি পাওয়ার অধিকার রাখে তারাই মূলত ওয়ারিশ।

আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ওয়ারিশগণের মধ্যে সবচাইতে অবহেলিত ব্যক্তি বোন এবং ফুপু। পরিশান সম্পত্তি না দেওয়ার মধ্যে এবং না পাওয়ার মধ্যে এই দুইজন ব্যক্তি সর্বাধিক আলোচিত। কারণ ভাইয়েরা এবং বাবারা মনে করেন মেয়ে এবং বোন দের বিয়েতে যে খরচ হয়েছে তাই তাদের প্রাপ্য, তারা ভুলে যায় সেটা তাদের দায়িত্ব। যার ফলে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের অরিস ঠকানো মামলা।

ওয়ারিশ হচ্ছে কোন মৃত ব্যক্তির রক্তের সম্পর্কিত আত্মীয়-স্বজন যারা মৃত ব্যক্তির ত্যাক্ত সম্পত্তির উপর সর্বাধিক অধিকার রাখে তারাই হচ্ছে ওয়ারিশ। আর কোন মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপর সে সকল ব্যক্তির ঐ অধিকার জন্মে যারা উক্ত ব্যক্তির ঊর্ধ্ব-পুরুষ এবং নিম্ন পুরুষ। যদি ঊর্ধ্ব-পুরুষ এবং নিম্ন পুরুষ গণের মধ্যে কেউ উপস্থিত না থাকে তাহলে অন্য কোথাও ওয়ারিশ তালাশ করতে হবে।

আমাদের দেশে ওয়ারিসদের বঞ্চিত করা একটি চিরাচরিত নেক্কারজনক ঘটনা বটে। এই ঘটনাগুলো সাধারণত আমাদের উর্দু পুরুষ অর্থাৎ বাবা দাদাদের সময়ে সবচাইতে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বর্তমান সময়ে শিক্ষা দীক্ষার ব্যাপক প্রচলন হওয়ার প্রেক্ষিতে উক্ত সমস্যাগুলো কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। এ পর্যায়ে চলুন দেখে আসি কিছু সাধারণ কারণ যার ফলে ওয়ারিশদের বঞ্চিত করা হতো বা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে তবে সাধারণত উপরোক্ত কারণ গুলোই বেশি লক্ষ্য করা যায, ওয়ারিসদের বঞ্চিত করার ক্ষেত্রে। তবে আমাদের কে ওয়ারিশ ঠকানোর কাজটি হতে বেরিয়ে আসতে হবে, কারণ এটা অত্যন্ত গর্হীত এবং পাপ কাজও বটে।

আপনি একজন ওয়ারিশ! আপনি আপনার সম্পত্তি টি অন্য ওয়ারিশদের নিকট হতে বুঝে নিতে চাচ্ছেন, আপনি বুঝে নিতে চাইলেও কোন একজন ওয়ারিশ বা আপনি ব্যতীত অন্য কোন ওয়ারিশ আপনার অংশটুকু কিংবা সকলের অংশটুকু নিজ নিজ ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে না বা বুঝে নিতে চাচ্ছে না। 

সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু বিষয় মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করলে আপনার নিজের অংশটুকু আপনি খুব সহজেই বের করে নিতে পারবেন। চলুন এ পর্যায়ে আমরা বিষয়গুলো জেনে নিই।

আরো পড়ুনঃ  পুত্র সন্তান না থাকলে ওয়ারিস কে কে হতে পারে

প্রথমে আপনি আপনার ওয়ারিশান সম্পত্তি সমূহের সকল দলিলপত্র সংগ্রহ করে নেবেন। আপনার কাছে যদি উক্ত সম্পত্তির কোন দলিলাদি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে উক্ত সম্পত্তি সমূহ কিছু অর্থের বিনিময়ে অর্থাৎ সরকারি চার্জ এবং কিছু অফিস খরচ যা উপরি খরচ হিসেবে দিতে হবে সেটি আপনাকে দিয়ে আপনার উক্ত সম্পত্তির দলিলাদি সংগ্রহ করে নিতে হবে।

সম্পত্তির দলিল যার কাছে আছে সে দিতে চাচ্ছে না সে ক্ষেত্রে কোথায় হতে উচ্চ সম্পত্তির কাগজপত্র সংগ্রহ করবো? আপনার এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে আপনি যদি আপনার ওয়ারিশদের নিকট হতে ওয়ারিশান সম্পত্তির কোন কাগজপত্র না পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার উক্ত সম্পত্তির কিছু বেসিক তথ্য নিয়ে তা আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়ারিশান বা পৈত্রিক সম্পত্তির দলিল পাচ্ছি না করণীয় কি

চলুন এ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক কোথায় হতে খুব সহজে আপনার ওয়ারিশান সম্পত্তির কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন-

সাধারণত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অধিকাংশই ওয়ারিশান সম্পত্তি অর্থাৎ এজমালি সম্পত্তি সমূহ স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটিত কারণে এবং বিভিন্ন অবহেলার কারণে উক্ত সম্পত্তিগুলো অধিকাংশই ভাগ বন্টন করা হতে বিরত থাকে। যদি কোন ওয়ারিশের কোনো রকম প্রয়োজন না পড়ে কাগজ পাতি করার তাহলে তারা সরোজমিনে নিজেদের সুবিধা মতো ভাব বন্টন করে বক দখল করতে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ  ফারাজ কাকে বলে? ইসলামে ফারায়েজ শিক্ষার গুরুত্ব।

কিন্তু উক্ত সম্পত্তি কাগজেও হবে কোনরকম ফায়সালা করতে রাজি থাকে না বা করা হয়ে ওঠে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সম্পত্তি টি বের করবেন যেভাবে। এই পর্যায়ে আমরা উক্ত বিষয়টি আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি।

উপরোক্ত প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার সম্পত্তি চাইলে খুব সহজেই বের করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যদি আপনার ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পত্তি না দিতে চাই তাহলে, উপরোক্ত ফর্মুলা গুলো এপ্লাই করুন।

আমাদের সমাজে সাধারণত কিছু কুসংস্কার ও প্রথা অবলম্বন করে সাধারণত ওয়ারিশদের মধ্যে যারা নারী রয়েছে তাদের অংশটুকুই অধিকাংশ সময়ে বঞ্চিত করা হয়। এছাড়াও ওয়ারিশগণের মধ্যে যারা সাধারণত দুর্বল হয়ে থাকে তাদের অংশটুকু পরিসগণদের মধ্যে যারা চালাক চতুর তারা অনেক অংশে বঞ্চিত করে থাকে।

আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু সম্পদ রয়েছে। তাই আমরা নিজেদের সম্পদ গুলোকে সঠিক ব্যবহার করব এবং যার যে অংশটুকু প্রাপ্য তাকে তার অংশটুকু বুঝিয়ে দিবো। কারণ দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী! আজকে আপনি মারা গেলেই কালকে আপনার সম্পত্তিটুকু আরেকজনের হয়ে যাবে। 

 আপনি আর ভোগ করতে পারবেন না। তাই সাবধান হয়ে যান কোন ওয়ারিশকে তার নির্দিষ্ট ওয়ারিশান হতে বঞ্চিত করবেন না। যদি কোন ওয়ারিশকে বঞ্চিত করে থাকেন তাহলে প্রস্তুত থাকুন কঠিন শাস্তির জন্য।

পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনিসহ আপনার পরিচিত জনদেরকে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড কে ফলো করে রাখুন যাতে করে পরবর্তী আপডেট এবং নতুন আর্টিকেল এর সন্ধান পেয়ে যান।

শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য বেস্টওয়াল্ড এর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।