ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়ের পাঁচটি টিপস
আসসালামু আলাইকুম! সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, বেস্টওয়াল্ড এর পক্ষ হতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি নিশ্চয়ই ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আজ আমরা এই আর্টিকালের মাধ্যমে আপনাকে উক্ত বিষয়ের কিছু সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিবেন।
অতিরিক্ত ওজন যেমন কারো কাম্য নয়, ঠিক তেমনি স্বল্প ওজনও কারো কাম্য নয় অর্থাৎ আমরা সকলেই চাই আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এবং সুদর্শন আকর্ষণীয় চেহারার জন্য সকল সময় ফিটনেস থাকার জন্য শরীরের উচ্চতার সাথে যাতে করে শরীরের ওজনের তারতম্য ঠিক থাকে সেটাই আমাদের সকলের কাম্য।
ভূমিকা
আপনি কি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজনের জন্য চিন্তিত! চিন্তার কোন কারণ নেই কিছু ঘরোয়া টিপস এবং নিয়মকানুন মেনে চললে আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই কমিয়ে নিতে পারেন। তাও আবার কোনরকম ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ায় নয় বরঞ্চ আপনার আশেপাশে থাকা চমৎকার কিছু উপাদান দিয়ে এবং যা অর্থশাস্ত্রাইকারী।
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমাদের শরীর ফিট রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি, আজকে আপনাকে তারই মধ্য হতে পাঁচটি কৌশল বা টিপস জানিয়ে দিচ্ছি, বিষয়গুলো আপনি যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই কমে নিয়ে আসতে পারবেন।
- খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করা।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।
- গ্রিন টি।
- ব্যাম বা শরীর চর্চা করা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।
খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করা
আপনি একটি নিয়ম মফিক আপনার প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণ করবেন। আপনার অনিয়ন্ত্রিত বা অনিয়মিত খাবারের কারণে আপনার শরীরের ওজন আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। অর্থাৎ আপনার খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার জন্যই আপনার শরীরের ওজনের তারতম ঠিক নেই। এজন্য আপনাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের খাবার নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার ইচ্ছা মত সময়টি নির্ধারণ করুন। সকালে আপনি ভারী খাবার খেতে পারেন, দুপুরে ভাত খাবেন পর্যাপ্ত পরিমাণ, রাত্রে রুটি কিংবা হালকা খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া আপনি বাকি সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল গ্রহণ করতে পারেন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
একটি মানুষের প্রতি দিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এর অতিরিক্ত সময় আপনি যদি বিশ্রাম নেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে পক্ষান্তরে যদি আপনি অত্যন্ত কম পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য হয়নি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার দশটি ঔষধি গুন
তাই আপনি আপনার শরীরের ওজন ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান অর্থাৎ ৬ থেকে ৭ ঘন্টা বিশ্রাম করুন। সবথেকে ভালো হয় রাত্রিবেলায় খুব তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। দিনের বেলায় ঘুমানো কোনক্রমে উচিত নয়।
গ্রিন টি খাবার তালিকায় রাখুন
গ্রিন টি এমন একটি খাদ্য উপাদান যা আপনার শরীরের ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রিনটিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যার মাধ্যমে আমাদের ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি প্রতিনিয়তই তিন থেকে চার কাপ গ্রিন টি পান করেন তাহলে শরীর থেকে একটি বড় অংশ, এক গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে ৪০০ গ্রাম ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ চা পাতায় কোন ভিটামিন থাকে
আর আমাদের শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হওয়ার মাধ্যমে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ভূমিকা পালন করে। এজন্য যারা এদের ওজন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তারা যদি প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ গ্রিন টি পান করেন তাহলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর ফলাফল বুঝতে পারবেন। তাই আমি বলব যারা ওজন এর সমস্যায় ভুগছেন তারা গ্রিন টি পান করে দেখতে পারেন।
ব্যাম বা শরীর চর্চা করা
ব্যাম বা শরীর চর্চা আপনার ওজন কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সকলেই জানি যে শরীর ফিট রাখার জন্য ব্যায়াম করা কতটুকু জরুরী। আপনার যদি শরীরে ওজন অত্যাধিক পরিমাণে বেশি থাকে তাহলে আপনি শরীরচর্চার মাধ্যমেও আপনার বাড়তি ওজন টুকু কমিয়ে আনতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিনিয়ত সকাল সকাল শরীর চর্চা করতে হবে। শরীরচর্চা করার জন্য কোন খালি জায়গায় পার্কে, জিমাগারে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই আপনি বাসাতে বসেই আপনি আপনার শরীর চর্চার কাজটি সম্পাদন করতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা
পানি এমন একটি খাদ্য উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে আরোগ্য প্রদানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনি প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন দেখবেন অনেক ধরনের রোগ বালাই হতে আপনি সেভ থাকতে পারবেন। একজন সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন কম করে হলেও সাত থেকে আট ক্লাস পানি পান করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা
আপনি প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন দেখবেন পানি পান করার ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন। অর্থাৎ আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন থেকে থাকে তাহলে অনেকটাই ওজন কমিয়ে আনতে পারবেন। চেষ্টা করবেন খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পূর্বেই পানি পান করার।
উপসংহার
অনেকে আছেন যারা নিজের ওজন অর্থাৎ অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত কিন্তু কিছু সাধারন নিয়ম কানুন দ্বারা মানতে চায় না, তারা মনে করে শুধুমাত্র ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধের মাধ্যমে তার ওজনটি কমিয়ে ফেলবে অথবা নিয়ন্ত্রণ করবে।
কিন্তু সে যদি নিজেই কিছু সাধারণ অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে পারে তাহলে কোন ধরনের মেডিসিন ছাড়াই তার অতিরিক্ত ওজনটি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে সুস্থ থাকতে পারে।
লেখকের কথা
শরীরের বাড়তি ওজন কিংবা ওজন হীনতা কোনোটিই আমাদের কাছে কাম্য নয়। এজন্য আমরা যেটি করতে পারি সেটি হচ্ছে একটি নিয়ম তান্ত্রিক অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি যার ফলশ্রুতিতে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কিংবা ওজন হীনতা দূর করতে পারি, এজন্য প্রয়োজন একটু সতর্কতা।
পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি সহ আপনার পরিচিত জনদেরকে আমাদের এই ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড ফলো করুন যাতে করে আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলগুলো আপনার নোটিফিকেশনে চলে যায় এবং আপনারা তা স্বাচ্ছন্দ্যে পড়ে নিতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত বেস্টওয়াল্ডের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
খাওয়া বিষয়ে কিছু বলেন।