OrdinaryITPostAd

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি

আসসালামুআলাইকুম! সু-প্রিয় পাঠক বৃন্দ! বেস্টওয়াল্ডের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা লক্ষ্য করছি যে এই মুহূর্তে আপনি ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই আদিকালের মাধ্যমে আমরা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করা যাচ্ছে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।
ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি
অজু হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা মানুষকে শারীরিকভাবে অপবিত্রতা থেকে পরিত্রান দিয়ে পবিত্রতা অর্জন এর অন্যতম হাতিয়ার। হুজুর মাধ্যমে আমরা মুসলিম সম্প্রদায় গন দিনে পাঁচবার পবিত্রতা অর্জন করেছে। আর নামাজ পড়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে পবিত্রতা অর্জন করা তাই দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার পূর্বে মুসলিমগণ পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে অজু করে বা ওযু করি।

ভূমিকা

প্রতিটি মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের পূর্বে পবিত্রতা অর্জনের জন্য ওজু করে এছাড়াও সালাত আদায়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ওযু করা। ওযু করতে হয় আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করার পূর্বে এবং পাঠ করার পূর্বে পবিত্রতা অর্জনের একমাত্র শর্ট এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হচ্ছে ওযু করা।

ওযু কি

ওযু হচ্ছে মুসলমান অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যার মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমান পবিত্রতা অর্জন করে থাকে! ইসলামে পবিত্রতা অর্জনের কয়েকটি ধাপ রয়েছে তার মধ্যে বাহ্যিকভাবে অর্থাৎ শারীরিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মাধ্যম রয়েছে। যেমনটি হচ্ছে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা, অজুর মাধ্যমে পবিত্র অর্জন করা এবং সর্বোপরি পানি না পেলে তায়াম্মুম এর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।

ওযুর ফরজ সমূহ

পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে ওযু একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আর এই ওযু করতে হলে আপনাকে একটি নিয়ম মেনে ওজু তৈরি করতে হয় বা ওজু করতে হয়। ওযুর ফরজ চারটি! চারটি কাজ সম্পন্ন করলেই আপনার ওযু সম্পূর্ণ হয়ে যায়। চলুন এ পর্যায়ে ওযুর ফরজ চারটি সম্পর্কে জেনে নিন।
  • মুখমণ্ডল ধৌত করা।
  • উভয় হাতের কোনায় পর্যন্ত কব্জি সহকারে ধৌত করা।
  • মাথার তিন ভাগের এক ভাগ মাশাহ করা।
  • উভয় পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত টাখনু সহকারে ধৌত করা।

অজু তৈরি করার সুন্নতি নিয়ম

পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে ওযু করার সুন্নতি নিয়ম হচ্ছে প্রতিটি অঙ্গ তিনবার করে ধৌত করা। যদিও এটি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। আমরা মতভেদের দিকে না যায়। চলুন এ পর্যায়ে অজু করার সুন্নতি পদ্ধতি গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • সর্বপ্রথম উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা।
  • গরগরা সহকারে কুলি করা।
  • নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছালো।
  • ভালো করে মুখমণ্ডল ধৌত করা, যাদের দাড়ি রয়েছে তাদের দাড়িগুলো যত্ন সহকারে ধৌত করা। যাতে করে প্রতিটি দাড়ির গোড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছে যায়।
  • উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত ভালোভাবে ধৌত করা।
  • মাথা মাসেহ করা! হাতের তিনটি আঙ্গুল দিয়ে সামনের দিক হতে পিছন দিক পর্যন্ত এবং শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কান পরিষ্কার করে উভয় হাতের পিছন দিক দিয়ে ঘাড় মাসেহ করা, এটি হচ্ছে সুন্নতি পদ্ধতি তবে মাথার তিন ভাগের একভাগ মাসেহ করা ফরজ।
  • সর্বশেষ উভয় পায়ের গোড়ালি সহকারে টাখনু পর্যন্ত ভালোভাবে পরিষ্কার করা এবং পায়ের আঙ্গুল গুলোর মধ্যে হাত দিয়ে খিলান করা যাতে করে পায়ের আঙ্গুল গুলোর এর মধ্যে সহজেই পানি প্রবেশ করতে পারে।

ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ

ওজু তৈরি করতে উপরুক্ত পদ্ধত্বি গুলো যেমন অনুসরণ করতে হয়! ঠিক তেমনি আপনার ওযু একবার করে নিলে আর করা লাগবে না বিষয়টি এমন নয়! কিছু কাজ রয়েছে বা কিছু রয়েছে যা হয়ে গেলে আপনার ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। চলুন এ পর্যায়ে আমরা ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ সহজেই ইঞ্জিনে নেই।
  • প্রসব পায়খানা এবং বায় সারলে অর্থাৎ শরীর হতে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গত হলে।
  • বেহুশ হয়ে গেলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • তন্দ্রা বা ঘুম চলে আসলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • শরীরের মধ্যে হতে রক্ত,পুজ, অপবিত্র পানি গড়িয়ে পড়লে।
  • মুখ ভর্তি বমি করলে।
  • স্ত্রী সহবাস করলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • মুখ দিয়ে বেহুদা কথা বললে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • শরিরের শতর তরক করলে ওজু ভঙ্গ হয়।
পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনিসহ আপনার পরিচিত জনদেরকে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড কে ফলো করে রাখুন যাতে করে পরবর্তী আপডেট এবং নতুন আর্টিকেল এর সন্ধান পেয়ে যান।

শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য বেস্টওয়াল্ড এর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url