OrdinaryITPostAd

মুসলিম মেয়েরা কয়টি খাদ হতে সম্পদ লাভ করে থাকে

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাকে জানাই আমাদের ওয়েবসাইট বেস্ট অল্ড এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! লক্ষ্য করছি যে আপনি এই মুহূর্তে মুসলিম মেয়েরা কয়টি খাদ হতে সম্পদ লাভ করে এ বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আশা করছি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে উক্ত বিষয়ে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন।
মুসলিম মেয়েরা কয়টি খাদ হতে সম্পদ লাভ করে থাকে
সম্পদ প্রতিটি মানুষের জন্য একটি অসম্ভবীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি মানুষের জীবন চলার পথে কিছু না কিছু পরিমাণ সম্পদের আবশ্যকীয়তা রয়েছে। তবে আমাদের সমাজে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়েরা সম্পদের প্রাপ্তি হতে অনেক সময় বঞ্চিত হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবেই!

ভূমিকা

মুসলিম মেয়েরা সম্পদ বেশ কয়েকটি স্থান হতে অর্জন করে থাকে। এই দিকটি বিবেচনা করলে পুরুষের তুলনায় মেয়েরা বেশি জায়গা হতে সম্পদ অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। একদিকে যেমন মেয়ের অংশের তুলনায় একজন পুরুষের অংশ ডাবল সেক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে পুরুষের প্রাপ্তির তুলনায় মেয়েদের প্রাপ্তি অধিক।

সম্পদ কি

  • সম্পদ দুই ধরনের হতে পারে তার মধ্যে একটি হচ্ছে স্থায়ী সম্পদ আরেকটি হচ্ছে অস্থায়ী সম্পদ। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- জায়গা জমি, ঘরবাড়ি, বাংলো, বাগানবাড়ি, বাথান, স্বর্ণ,রুপ্পো, ডায়মন্ড, ইত্যাদি। অপরদিকে অস্থায়ী সম্পদ অর্থাৎ অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- টাকা পয়সা, গাড়ি, পশু পাখি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি।
  • সম্পদের ব্যাখ্যা আমরা এভাবে দিতে পারি যে, যাহা কিছুর মাধ্যমে আমাদের দৈনান্দিক চাহিদার পূরণের পাশাপাশি স্থায়ী চাহিদা পূরণের সক্ষমতা তৈরি হয় তাহাই মূলত সম্পদ।
  • অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল বস্তু বা খনি অর্থের কিংবা কোন কিছুর বিনিময়ে হস্তান্তরযোগ্য তাহাই মূলত সম্পদ। অর্থাৎ যে সকল কিছুর হস্তান্তর যোগ্যতা রয়েছে উক্ত বিষয়গুলোকে আমরা সম্পদ হিসেবে জেনে থাকি।

মুসলিম মেয়েরা কয়টি খাদ হতে সম্পদ লাভ করে থাকে

একজন মুসলিম মেয়ে বেশ কয়েকটি খাত হতে সম্পদ লাভ করতে পারে- আজকের এই আলোচনা হতে আপনি স্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেন যে একটি মেয়ে কোন কোন খাত হতে সম্পদ অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। তাহলে চলুন উক্ত বিষয়টি নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা নেওয়া যা-
কন্যা হিসেবে সম্পদ প্রাপ্তি-একজন মুসলিম মেয়ে প্রথমত তার পিতা-মাতার ওয়ারিস হিসাবে সম্পদ লাভ করে থাকে। অর্থাৎ মেয়ে বা কন্যা হিসেবে সম্পদ প্রাপ্তি-
স্ত্রী হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি- একজন মেয়ে যখন বিবাহিত হয়ে যায় তখন তার স্বামীর নিকট হতে একটি অংশ স্ত্রী পেয়ে থাকে।
মা হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি- একটি মেয়ের যখন বিবাহর পরে সন্তান জন্ম দেয় তখন উক্ত সন্তানের নিকট হতেও একজন মেয়ে সম্পদ অর্জন করতে পারে।
বোন হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি- অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় একজন মেয়ে তার ভাইয়ের নিকট হতে সম্পদ পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও মেয়ে সম্পদ পাচ্ছে তাহলে এটিও একটি স্পষ্টখাদ সম্পদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে।
দাদী-নানী হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি, নাতিনী হিসেবে সম্পদ প্রাপ্তি- তবে এ দুইটি তৃতীয় প্রজন্মের বিষয় বলা বাহুল্য যে এই দুইটি ক্ষেত্র সাধারনত মেয়ে হিসাবে এবং মা হিসাবেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। তবে সম্পাদ্য পাচ্ছেই।
সংক্ষেপে যদি বলতে চাই কিংবা পয়েন্ট আকারে বলতে গেলে বিষয়টি এরকম দাঁড়ায় যে-
  • কন্যা হিসেবে সম্পদ প্রাপ্তি।
  • স্ত্রী হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি।
  • মা হিসেবে সম্পদ প্রাপ্তি।
  • বোন হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি।
  • দাদী-নানী হিসাবে সম্পদ প্রাপ্তি।
  • নাতনি হিসেবে সম্পদ প্রাপ্তি।

মুসলিম মেয়েদের সম্পদ প্রাপ্তির অংশ

কন্যা হিসেবে- কন্যা হিসেবে একজন মেয়ে সম্পদ পেয়ে থাকে তিনটি পদ্ধতিতে।
  • প্রথম পদ্ধতিটি হচ্ছে- যদি উক্ত মেয়েটির ভাই থাকে! তাহলে তার পিতামাতার রেখে যাওয়া সম্পদের ভাগ হবে। ছেলে দুই ভাগ মেয়ে এক ভাগ। অর্থাৎ ভাই পাবে দুই ভাগ এবং বোন পাবে এক ভাগ সে ক্ষেত্রে যতজন ভাই হোক এবং যত জেনে বোন হোক।
  • দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে- যদি কোন মেয়ের পিতা-মাতার সম্পত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন মাত্র কন্যা সন্তান হয় তাহলে তার পিতা-মাতার রেখে যাওয়া সমুদয় সম্পত্তির অর্ধেক মেয়ে হিসেবে উক্ত সম্পদের ভাগীদার হবে।
  • তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে- কোন পিতা-মাতার যদি পুত্র সন্তান না থেকে এবং একাধিক কন্যা সন্তান থাকে তাহলে সকল কন্যা গন সমুদয় সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ সমান ভাগে প্রাপ্ত হবে।
স্ত্রী হিসাবে- একজন মুসলিম মেয়ে স্ত্রী হিসাবে তার স্বামীর সম্পদ পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তার অংশ হচ্ছে নির্ধারিত। এক্ষেত্রে দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
  • প্রথমটি হচ্ছে- যদি তার সন্তান-সন্ততি থেকে থাকে তাহলে তার স্বামীর মোট সম্পদের দুই আনার মালিক স্ত্রী হবে।
  • দ্বিতীয়টি হচ্ছে- সন্তান-সন্ততি যদি না থাকে তাহলে উক্ত স্বামীর সব সমস্ত সম্পত্তির ১ এর ৪ অংশ অর্থাৎ চার আনার অংশ হিসাবে স্ত্রী সম্পদ প্রাপ্ত হবে।
মা হিসাবে- একজন মেয়ে মা হিসেবেও সম্পদের প্রাপ্তি অর্জন করে। এক্ষেত্রে একজন মা তার ছেলের সমুদয় সম্পত্তির মধ্যে দুইটি নিয়মে সম্পদ পেয়ে থাকে। যদি তার সন্তানের সন্তান সন্ততি থেকে থাকে তাহলে তিনি তার সন্তানের মোট সম্পদের ১/৬ ভাগ প্রাপ্ত হয়। আর যদি তার সন্তানের কোন সন্তান-সন্ততি না থেকে থাকে তাহলে তার সন্তানের রেখে যাওয়া মোট সম্পদের ১/৪ ভাগ প্রাপ্ত হয়।
বোন হিসাবে- একজন মুসলিম মেয়ে শুধুমাত্র তখনই বোন হিসাবে তার ভাইয়ের সম্পদ প্রাপ্ত হবে যখন তার ভাইয়ের কোন সন্তান-সন্ততি থাকবে না অর্থাৎ তার ভাই যদি নিসন্তান অবস্থায় মারা যায় তখন একটি অংশ বন প্রাপ্তি হয় অংশটুকু হচ্ছে এক এক চার।
দাদি এবং নানী হিসেবে প্রাপ্তি- একজন মেয়ে দাদি নানী হিসেবে সম্পদের প্রাপ্তি অর্জন করতে পারে তবে এক্ষেত্রে প্রকাশ থাকে যে উক্ত সম্পদের তখনই প্রাপ্তি হবে যখন একজন মৃত ব্যক্তির পিতা মাতা জীবিত না থেকে, দাদি-নানি জীবিত থাকলে।

উপসংহার

একজন মুসলিম নারীর সম্মান ইসলামে এতটাই দিয়েছে যে তার বিভিন্ন ধরনের সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে, অতএব একজন নারীকে কোন অবস্থাতেই বঞ্চিত করা হয়নি! হাতে গোনা কয়েকটি খাত ছাড়া। অতএব আপনারা আপনাদের অধীনস্থ সকল নারীদের সম্পদ সঠিকভাবে অংশ মোতাবেক বুঝিয়ে দিবেন এই কামনাই রইল।

ভূমি বিষয়ক যেকোনো তথ্য জানতে এবং জানাতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার সমস্যার কথাগুলো আমাদেরকে জানালে এবং চাহিদা মাফিক ডকুমেন্টস শো করলে আপনার সমস্যার উদঘাটন আমরা নিশ্চয়ই করে দেবো।

পরিশেষে বলতে চাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনিসহ আপনার পরিচিত জনদেরকে আমাদের ওয়েবসাইট বেস্টওয়াল্ড কে ফলো করে রাখুন যাতে করে পরবর্তী আপডেট এবং নতুন আর্টিকেল এর সন্ধান পেয়ে যান।

শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য বেস্টওয়াল্ড এর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url