আর এস খতিয়ান-

আর এস খতিয়ান

সিএস জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। পূর্বের ভুল ত্রুটি সংশোধনক্রমে আরএস জরিপ তুলনামূলকভাবে শুদ্ধ হয়, এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আরএস জরিপের ওপর নির্ভর করা হয়।
আর এস খতিয়ান-

RS খতিয়ান

SA খতিয়ানের নানা ধরণের ভুল ধরার পরে সরকার RS খতিয়ানের কাজ শুরু করে। জমির মালিক এবং দখলদার হালনাগাদ করার মাধ্যমে এই জরিপ সম্পন্ন করা হয়। SA খতিয়ানের ভুল সংশোধন করে RS জরিপ এতটাই ভালো কাজ করে যে এখন জমিজামা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে সবাই RS খতিয়ানের উপর নির্ভরশীল। এই খতিয়ান জমি মালিক ও দখলদারের তথ্য নিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এটি ১৯৬৬-৮০ এর মধ্যে সম্পন্ন করা হয়।

RS খতিয়ান এর বৈশিষ্ট্য

RS খতিয়ান চিনতে হলে আপনাকে কিছু বৈশিষ্ট্য খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ
RS খতিয়ান এক পাতা অথবা দুই পাতার হয়ে থাকে।
RS খতিয়ান হবে লম্বালম্বি।
RS খতিয়ান এর উপরে ডান পাশে লেখা থাকবে “ রেসার্ভে নং” ।
দুই পাতার RS খতিয়ানে থাকে জমির শ্রেনী থাকে। জমির শ্রেনী আবার দুইভাগে বিভক্ত। যথাঃ কৃষি এবং অকৃষি । এই ধারণা অনুসারেই বর্তমানে বাংলাদেশে জমি দুইভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। সেটা হচ্ছে কৃষি জমি এবং অকৃষি জমি। আবার অন্যদিকে এক পাতার RS খতিয়ানেও কৃষি ও অকৃষি জমির ভাগ থাকে। এক পাতার RS খতিয়ানের মন্তব্য কলামে নাম্বার অনুযায়ী কৃষি ও অকৃষি বিভক্ত থাকে। ১ নাম্বার কৃষির জন্য এবং দুই নাম্বার অকৃষির জন্য। যার জমি কৃষি তাঁর নাম কৃষির স্থানে এবং যার জমি অকৃষি তাঁর নাম অকৃষির স্তাহ্নে লেখা থাকবে। এক পাতার RS খতিয়ান এ রেঃসাঃনং থাকবে।

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Bestwold নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url